সংক্ষিপ্ত
ন্যাশনাল পেমেন্টস করপোরেশন অফ ইন্ডিয়া বিভিন্ন অনলাইন অ্যাপের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। উদ্দেশ্য টোকেনাইজেশন সিস্টেমের উপকারিতা সকলের সামনে মেলে ধরা। ১ জানুয়ারি থেকে চালু হবে এই নতুন নিয়ম।
বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন কাজকে আরও সহজ করে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দুনিয়া। সেক্ষেত্রে প্রায় প্রতিনিয়ই আসছে নিত্য নতুন পরিবর্তনও। উল্লেখ্য, বর্তমান প্রজন্ম অনলাইন লেনদেনের সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত। আজকাল ঘরে বসেই এক ক্লিকে পাওয়া যায় নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসটি। অর্থাৎ, স্মার্টফোন থেকে চটজলদি বিভিন্ন অনলাইন শপিং সাইটেজিনিস অর্জার করলেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেগুলো চলে আসে দোড়গোড়ায়। অনলাইন শপিং সাইটে(Online shopping) যেমন সহজে কেনাকাটা করা যায়, ঠিক তেমনই কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনলাইন লেনদেনকেও আরও সহজতর করে তোলা হচ্ছে। আগামী বছর থেকেই আরও সহজে অনলাইন পেমেন্ট(Online Payment) বা অনলাইন লেনদেন(Online Transaction) করতে পারবে ক্রেতারা। বর্তমানে কার্ডের মাধ্যমে কোনও সংস্থাকে টাকা মেটাতে সব সময়ে কার্ডের ১৬ সংখ্যার নম্বরের সঙ্গে দিতে হয় কার্ডের এক্সপায়ারি ডেট এবং সিভিভি নম্বরটি। কিন্তু ২০২২ সাল(New Year) অর্থাৎ নতুন বছর থেকে অনলাইন পেমেন্টের(Online payment) ক্ষেত্রে আর এত ঝামেলা করতে হবে না। তাছাড়াও এই পদ্ধতিতে অনলাইন লেনদেনের (Online Transaction)ফলে বিভিন্ন অনলাইন অ্যাপ গুলো গ্রাহকের কার্ডের বিবরণ নিজের কাছে রাখত। তবে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কোনও সংস্থাই কোনও গ্রাহকের কার্ডের বিবরণ নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করতে পারবে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকেই চালু হবে টোকেনাইজেশন পদ্ধতি(Tokenization System)। ইতিমধ্যেই এইচডিএফসি-সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের এই ব্যাপারে নির্দেশ পাঠাতে শুরু করে দিয়েছে। জামাকাপড় থেকে খাবার অনলাইনে অর্ডার করা ও দাম মেটানোয় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন বহু মানুষ। নতুন পদ্ধতিতে কাজ আরও সহজ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ন্যাশনাল পেমেন্টস করপোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা NPCI বিগবাস্কেট, গোআইবিবো, মেকমাই ট্রিপ, জিও পে, পেটিম-র মত বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে টোকেনাইজেশন পদ্ধতি বা NPCI টোকেনাইজেশন সিস্টেমের (Tokenization System) উপকারিতা আপামোর ইউজারদের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে। এই নতুন পদ্ধতিতেও সবচেয়ে সুবিধাজনক যে ব্যাপারটি হবে সেটি হল,গ্রাহককে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের ১৬ অঙ্কের সংখ্যাটা আর মনে রাখতে হবে না। কেনাকাটার সময়ে কার্ডের নম্বর থেকে সিভিভি বা কার্ডের এক্সপায়ারি ডেটের তথ্যও দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তার বদলে লাগবে শুধু একটি টোকেন নম্বর। আর তাতেই মিটে যাবে এই গোটা অনলাইন লেনদেন প্রক্রিয়াটি। কোনও মার্চেন্ট সাইটে কার্ডের নথি যেহেতু আর সংরক্ষণের প্রয়োজন হচ্ছে না, তাই তথ্য চুরির ভয় বা কোনও জালিয়াতির আশঙ্কাও অনেকটা কম থাকবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্দেশিত কার্ডের এই টোকেনাইজেশনের প্রযুক্তি অবলম্বন করলে বেশ খানিকটা স্বস্তিতে থাকবে গ্রাহক নিজেও।
বলা বাহুল্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যে নির্দেশ তাতে গ্রাহকরা কার্ড প্রদানকারী সংস্থা বা ব্যাঙ্কের কাছে টোকেনের জন্য অনলাইনে অনুরোধ পাঠাতে পারবেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানান হয়েছ, কেনাকাটার সময়ে থার্ড পার্টি অ্যাপকে গ্রাহকরা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার বদলে শুধু একটি বিকল্প কোড দেবেন। এই কোডটাই হল টোকেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকেই গ্রাহকদের সেই টোকেন দেওয়া হবে। প্রতিটি কার্ডের বিকল্প হিসেবে আলাদা আলাদা টোকেন হবে, যা দিয়ে কেনাকাটা করা যাবে কিন্তু বিক্রেতা সংস্থা কার্ডের কোনও তথ্য পাবে না বা সংরক্ষণ করতে পারবে না। আর ১ জানুয়ারির আগে বিভিন্ন মার্চেন্ট সাইট থেকে গ্রাহকদের যাবতীয় তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তিতে।