সংক্ষিপ্ত
- ফের বাড়ল জ্বালানির দাম
- কলকাতায় পেট্রোলের দাম ৩৪ পয়সা বেড়েছে
- পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ৯৭ পয়সা
- ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা
ফের বাড়ল জ্বালানির দাম। কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা ছুঁতে চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিজেলের দামও। দু-একদিন অন্তর রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে। আজ কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ৩৪ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৩৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে, পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ৯৭ টাকা ৯৭ পয়সা। আর লিটার প্রতি ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা।
আরও পড়ুন- পয়লা জুলাই থেকে বদলে যাচ্ছে ব্যাংকের বেশ কিছু নিয়ম, না জানলে হতে পারে সমস্যা
অন্যদিকে মুম্বইতে আজ লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ টাকা ২২ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৯৬ টাকা ১৬ পয়সা। দিল্লিতেও সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছে পেট্রোলের দাম। আজ সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ টাকা ১১ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা। তালিকায় পিছিয়ে নেই চেন্নাই। সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ১৯ পয়সা। ডিজেলের দাম ৯৩ টাকা ২৩ পয়সা। দেশের মধ্যে ভোপালে পেট্রোলের দাম সবথেকে বেশি। সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১০৬ টাকা ৩৫ পয়সা।
এই মুহূর্তে মোট বেশ কয়েকটি রাজ্যে পেট্রোলের দাম ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলাঙ্গানা, কর্নাটক, ওড়িশা, বিহার, কেরালা।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের আর্থিক অবস্থা বেহাল। এই পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আর তার মধ্যে দু-একদিন অন্তর তেলের দাম বাড়তে থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। খুচরো বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে। জ্বালানির দাম বাড়তে থাকায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশের ভোটেও মমতার 'খেলা হবে', তৃণমূলের বই থেকে পাতা ধার নিল সপা
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্প্রতি বলেছিলে, "মানছি জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু একবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে করোনার টিকার জন্য। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আমরা অর্থ সঞ্চয় করছি।"
অন্যদিকে, অর্থনীতিবিদদের একাংশের যুক্তি, একটা স্তরে সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তাঁদের মতে, এটা জরুরি পণ্য। এর সঙ্গে বাজারের অন্য পণ্যের দামের ওঠানামা যুক্ত। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। একটা স্তরে দাম নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
কয়েকদিন আগে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে ভারসাম্য রক্ষার পরামর্শ দিয়েছিলেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। তিনি বলেছিলেন, "সবসময় এটা বলা হয় যে, পেট্রোল-ডিজেলের মৃল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করুক। কিন্তু আমাদের ভারস্যমাও রক্ষা করতে হবে। সরকারের দায়িত্ব মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। আমি আশা করি, যাঁদের এই দায়িত্ব, তাঁরা ভারসাম্য রক্ষা করবেন।"