সংক্ষিপ্ত
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের মতে ক্রিপটো কারেন্সি নিয়ে সরকারের অজ্ঞেয়বাদী মনোভাব থাকা অত্যাবশ্যক। তাঁর মতে, নিয়ন্ত্রকের পক্ষে ক্রিপ্টো সম্পদ বা ক্রিপ্টোকারেন্সির মান বা মূল্য নির্ধারণ করা যথেষ্ঠ কঠিন৷
ডিজিটাল কয়েন(Digital Coin) বা ক্রিপটোকারেন্সির(Cryptocurrency) বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বিভিন্ন মহলে চিন্তার ভাঁজ। পার্লামেন্টে শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ(Nirmala shitaraman) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দেশীয় মুদ্রার স্বীকৃতি দেওয়া হবে না ক্রিপটোকে। অন্যদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর(Governor Of RBI) শক্তিকান্ত দাসও(Shaktikanta Das) বিভিন্ন সময় ক্রিপটোকারেন্সি(Cryptocurrency) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এবার এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে গিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন বললেন(Raghuram Rajan,Ex Governor Of RBI) ডিজিটাল মুদ্রা(Digital Coin) বা ক্রিপটো কারেন্সি(Cryptocurrency) নিয়ে সরকারের অজ্ঞেয়বাদী মনোভাব থাকা অত্যাবশ্যক(To Adopt Agnostic Attitude)। ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, যদি দেখা যায় যেখানে তথ্য সংগ্রহ করা হয় আর সেখানে কোনও একটি সম্পদে যুক্তিসঙ্গতভাবে যেটুকু লেনদেন হওয়া উচিত তার থেকে অনেক বেশি লেনদেন হয়ে যাচ্ছে,সর্বোপরি বহু মানুষ সেখানে অংশ নিচ্ছে তখন জনগণকে সতর্ক করা উচিত। তাঁদের বোঝানো উচিত,সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, এমন কোনও আর্থিক লেনদেনে অংশগ্রহণ করলে আর্থিকভাবে ক্ষতির সন্মুখীন হওয়ার প্রবল সম্ভবনা থাকে। সেই সঙ্গে দেশীয় অর্থনীতির আর্থিক স্থিতি লঙ্ঘন হতে পারে।
ক্রিপটোকারেন্স প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন , ডিজিটাল কারেন্সি বা ক্রিপটো ব্যাবহারের সময় যথেষ্ঠ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আগে বুঝতে হবে এটি কোনও কার্যকরী বিনিয়োগের আওতায় পড়ছে কিনা, এখানে বিনিয়োগ করা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে কিনা। প্রয়োজন পড়লে এই সব চিন্তা ছেড়ে ডিজিটাল বিনিয়োগের বিষয়টিকেই মাথা থেকে বেড় করে ফেলা ভাল। কারণ এমন কিছু প্রযুক্তি রয়েছে যা কখনই ব্যবহার করার বিসেষ প্রয়োজন পড়ে না। তাই সেগুলোকে বাতিল করে দেওয়াই শ্রেয়। তিনি বলেন, বিদ্যমান বেশিরভাগ ক্রিপ্টোকারেন্সি খুব শীঘ্রই ধ্বংস হওয়ার পথে । ক্রিপ্টোতে কিছু নিয়ন্ত্রন বা নিষেধাজ্ঞা থাকা দরকার কি না এই প্রশ্নে ,রঘুবীর রাজন বলেন, এই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য থাকা দরকার। নিয়ন্ত্রকদের আরও ভালভাবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং বুঝতে হবে যে তাঁরা ঠিক কোন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন । তাহলেই সম্পূর্ণ জালিয়াতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন আরবিআই-র প্রাক্তন গভর্নর৷ একইসঙ্গে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রকের পক্ষে ক্রিপ্টো সম্পদ বা ক্রিপ্টোকারেন্সির মান বা মূল্য নির্ধারণ করা যথেষ্ঠ কঠিন৷
আরও পড়ুন-Crypto risk-ক্রিপটো সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় পাওনা যাবে না আইনি সাহায্য, জানাল RBI
রঘুবীর রাজন সেই সাক্ষাৎকারে বলেন, নিয়ন্ত্রকদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে খুব সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। নাহলে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ব্যাহত হবে এবং এটি মোকাবেলা করার ক্ষমতা তাদের আছে কিনা সেটাও ভালভাবে বোঝা যাবে না। প্রসঙ্গত, সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছিলেন, লোকসভায় তালিকাভুক্ত ক্রিপ্টো বিলটি একটি পুরানো বিল। শীঘ্রই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সামনে একটি নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল পেশ করা হবেবলে দাবি করেছিলেন তিনি । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও গত মাসে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে একটি বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছিলেন।