সংক্ষিপ্ত
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট ১৯৩৪ অনুযায়ী ২০২১ সালের অক্টোবরে এই ব্যাঙ্কের তরফে ডিজিটাল কারেন্সির প্রস্তাব দেওয়া হয়। সোমবার পার্লামেন্টে শীতকালীন অধিবেশনে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে বলা হয়।
ডিজিটাল মুদ্রার(Digital Coin) রমরমা দেখে বিভিন্ন মহল দেশের আগামী দিনের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার(RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এই বিষয় নিয়ে উদ্বেঘ প্রকাশ করে বলেছিলেন,ক্রিপটোকারেন্সি(Cryptourrency) দেশের আর্থিক স্থিতি নষ্ট করতে পারে। অন্যদিকে ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেনের বাড়বাড়ন্ত দেখে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার পার্লামেন্টে শীতকালীন অধিবেশনে(Winter Session in Parliament) অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ডিজিটাল মুদ্রার(Digital Coin) স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে এই শীতকালীন অধিবেশনে(winter Session) ক্রিপটোকারেন্সি প্রসঙ্গে উঠে আসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের কথা(RBI Proposal)। উল্লেখ্য,ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে অনেক দিন ধরেই ভাবনা-চিন্তা করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া(RBI)। চলতি বছরের শেষে ডিজিটাল মুদ্রার প্রচোলন করার কথা প্রস্তাব দিয়েছিল আরবিআই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট ১৯৩৪ অনুযায়ী ২০২১ সালের অক্টোবরে এই ব্যাঙ্কের তরফে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি(CBDC) বা সিবিডিসি-র একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। সোমবার পার্লামেন্টে শীতকালীন অধিবেশনে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে বলা হয়, ডিজিটাল মুদ্রাকে ব্যাঙ্ক নোটের অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছুক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই বিষয়ে অবশ্য আইন সংশোধনেরও প্রস্তাব দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের(RBI) জারি করা মুদ্রা হতে ডিজিটালকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করতে চেয়ে সংসদে(Parleament) ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অফিশিয়াল(Cryptocurrency Regulation Bill 2021) ডিজিটাল কারেন্সি বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র। লোকসভার(Lokesabha)ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বিলটির কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে ভারতে বাকি সমস্ত প্রাইভেট ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার ব্য়বস্থা করা হবে।
সোমবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি লিখিত জবাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই প্রস্তাবের কথা জানানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি বা সিবিডিসি চালু হলে অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। মানুষের নগদ টাকার ওপর নির্ভরতা কমবে। লেনদেনের খরচ কমবে, আর্থিক ক্ষেত্রেও ঝুঁকি কমার সুযোগ রয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের দাবি, ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রার মাধ্যমে কোনও ক্ষেত্রে অর্থ প্রদান আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে। তবে একই সঙ্গে সুবিধার পাশাপাশি যে অসুবিধা গুলো রয়েছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই দ্য সিডনি ডায়লগ-এ ভারতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও বিবর্তন সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে অতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।