সংক্ষিপ্ত

SEA-র সভাপতি অতুল চতুর্বেদী কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব শুধাংশু পাণ্ডেকে একটি চিঠি লেখেন। সরকারের কাছে অপরিশোধিত আর রিফাইন্ড পাম তেলের মধ্যে ১১ শতাংশ আমদানি শুল্কের ব্যবধানকে বহাল করার আবেদন করা হয়েছে।
 

রিফাইন্ড আর অপরিশোধিত পাম তেলের মধ্যে আমদানি শুল্কের ব্যবধান কমার ফলে ঘরোয়া রিফাইনিং তেলের (Desi Refining Oil) ব্য়বসার ক্ষতি হচ্ছে। তাই বৃহস্পতিবার শিল্প সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের (Solvent Extractors Association) তরফে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্র যেন আবার আগের মত রিফাইন্ড পাম তেলের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং সেই সঙ্গে রিফাইন্ড ও অপরিশোধিত তেলের মধ্যে আগের মতই ১১ শতাংশ শুল্কের ব্যবধানকে ফিরিয়ে আনে। তেলের সরবরাহ আরও বাড়ানোর জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার পাম তেলের আমদানি শুল্ক কম করেছিল।  উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাজারে খাবারের তেলের মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে আরবিডি পামোলিন আর আরবিডি পাম তেলের আমদানি শুল্ক ৫.৫ শতাংশ কমিয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ছাড়ের সিদ্ধান্তে রিফাইন্ড পাম তেল(Refined Palm Oil) আর অপরিশোধিত পাম তেলের (Unrefined Palm Oil) মধ্যে আমদানি শুল্কের ব্যবধান (Impoprt Duty) কমে ৫.৫ শতাংশ হয়ে যায়। দুই তেলের মধ্যে শুল্কের ব্যবধান কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা রিফাইন্ড পাম তেলের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। 

মুম্বইয়ের সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (SEA) সভাপতি অতুল চতুর্বেদী কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব শুধাংশু পাণ্ডেকে একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি বলেন, সরকারের কাছে অপরিশোধিত আর রিফাইন্ড পাম তেলের মধ্যে ১১ শতাংশ শুল্কের ব্যবধানকে বহাল করার আবেদন করা হয়েছে। এর ফলে দুই ধরনের তেলের মধ্যে শুল্কে ১১ শতাংশের ব্যবধান তৈরি হবে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে নিষিদ্ধ তালিকার অধীনে আরবিডি পামোলিন আর রিফাইন্ড পাম তেলের আমদানিকে ফের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক। এর ফলে ঘরোয়া রিফাইনিং শিল্প প্রতিযোগীতা করার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মেক ইন ইন্ডিয়ার পথ চলাও সফল হবে। 

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে রান্নার তেলের দামের গ্রাফ নিম্নমুখী, দাবি মন্ত্রনালয়ের

আরও পড়ুন-Edible Oil Price Cut-দাম কমল ভোজ্য তেলের, নববর্ষে পাতে পড়বে বাহারি খাবার

আরও পড়ুন-Mustard oil-ফের দাম বাড়ল সরষের তেলের,প্রতি লিটারে ৬৭ টাকা পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি

সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া বা এসইএ-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে সিপিওর আমদানি ছিল ৭.৪৮ লাখ টন। আর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে আমদানি ২৯.৫৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে হয়েছে ৫.২৮ লাখ টন। ক্রুড পাম কর্নেল অয়েল (CPKO) এর আমদানিও এক বছর আগের সময়সীমার ১৯,৪৮৬ টন পরিমাণের চেয়ে কমে ১৩,৮০০ টন হয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আরবিডি পামোলিনের আমদানি বেড়ে ২৪,০০০ টন হয়েছে।  এক বছর আগে যার পরিমান ছিল ৯০০ টন। অন্যদিকে সোয়াবিন তেলের আমদানি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ২১.৫৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩.৯২ লক্ষ টন।