সংক্ষিপ্ত
২০২২ সালের ইউনিয়ন বাজেটে চিংড়ি চাষে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা করেছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। অন্যদিকে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটি কমানো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে। জিএসটি বা অন্যান্য ট্যাক্সে ছাড় দিতে হবে। এর ফলে মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রেতা সকলেই লাভবান হবে বলে মত চিংড়ি চাষিদের।
১ ফেব্রুয়ারি সংসদে পেশ করা হয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ পেশ করেছেন ইউনিয়ন বাজেট (Union Budget)। বাজেট পেশের পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এছাড়াও বিভিন্ন অর্থনীতিবিদদের মধ্যেও দেখা গেছে মত বৈষম্য। তবে এই সবের মাঝে কেন্দ্রীয় বাজেটে হাসি ফুটেছে চিংড়ি চাষি (Shrimp Farmer) থেকে মৎস্য আধিকারিকদের মুখে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ইউনিয়ন বাজেটে চিংড়ি চাষে (Shrimp Farming) বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা করেছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Shitaraman)। একইসঙ্গে আবার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটি (To Reduce GST)কমানো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের (Fisherman)মধ্যে। উল্লেখ্য, বর্তমানে চিংড়ি চাষ অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসার আওতায় চলে এসেছে। ক্রেতা থেকে মাছচাষিদের মধ্যে চিংড়ির চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। কম সময়ে এবং কম বিনিয়োগে বেশি লাভ পাওয়ায় চিংড়ি চাষের (Shrimp Farming) প্রতি উৎসাহ দিচ্ছেন রাজ্যের মৎস্য আধিকারিকেরাও। এবার অত্যন্ত লাভজনক চিংড়ি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের লক্ষ্যে বাজেটেও চিংড়ি চাষে বিশেষ জোর দেওয়া হল।
বিশেষ ছাড় ঘোষণা করায় চিংড়ি চাষে মৎস্যচাষিরা আরও উৎসাহিত হবেন বলে জানিয়েছেন হলদিয়ার মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার শাহু। সেই সঙ্গে বলেন, আগামীদিনে অনেকেই চিংড়ি চাষ করে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য এগিয়ে আসবেন এবং মাছ চাষের উন্নয়ন ঘটবে। অন্যদিকে হলদিয়ার চিংড়িচাষি কৃষ্ণপ্রসাদ সামন্ত বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তিতে চিংড়ি চাষ লাভজনক হলেও খরচের পরিমান ছিল অনেকটাই। এবার কেন্দ্রের তরফে ছাড়ের ঘোষণা হওয়ার পর অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করছেন তিনি। অন্যদিকে মৎস্য ব্যবসায়ী বিনয় পাল বলেন, চিংড়ি মাছের যা দাম তাতে সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ পড়ে। তাই চিংড়ি মাছের উৎপাদন আরও বাড়ানোর দিকে যদি সরকার নজর দেয় খুব ভালো। সেই সঙ্গে বলেন, জিএসটি (GST) বা অন্যান্য ট্যাক্সে ছাড় দিতে হবে। এর ফলে মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রেতা সকলেই লাভবান হবে। সব মিলিয়ে বাজেটে চিংড়ি চাষে কেন্দ্র বিশেষ ছাড় ঘোষণা করলেও আশা-আশঙ্কায় দোদুল্যমান মৎস্যজীবী মহল।
আরও পড়ুন-Duare Sarkar 2022: 'দুয়ারে সরকারে মিলবে নতুন আরও ৬ পরিষেবা', ঘোষণা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের
চিংড়ি সহ বিভিন্ন অনামী মাছ, কাঁকড়া চাষে উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকারের তরফে মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, কম সুদে ঋণপ্রদানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এবার কেন্দ্রের তরফে বিশেষ ছাড় মিললে চিংড়ি চাষে বিপ্লব আসবে বলেই মনে করছেন হলদিয়ার মৎস্যচাষিরা। তবে কেন্দ্রের তরফে ঠিক কী ধরনের ছাড় দেওয়া হবে সেটা সঠিক না জানলে মৎসজীবী বা সাধারণ মানুষ কী সুবিধা পাবেন সেটাও জানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বারাসতের আড়তদার কল্যাণ সমিতির সম্পাদক সুশান্ত চক্রবর্তী।