সংক্ষিপ্ত
দেশীয় বাজারে স্টার্টআপের সাফল্যের পিছনে একটি বড় কারণ হল এই স্টার্টআপ সংস্থাগুলোর ওপর বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ। স্টার্টআপের বাজারে বিদেশি বিনিয়োগের বেশিরভাগই আসছে আমেরিকা থেকে। আমেরিকার পাশাপাশি অন্যান্য বিনিয়োগের পথও প্রসস্থ হয়েছে।
ভারতে স্টার্টআপের ব্যাবসা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ১৬ জানুয়ারিকে ন্যাশনাল স্টার্টআপ ডে (National Startup Day) হিসাবে ঘোষণা করেছেন। এবার থেকে এই দিনটিকে অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারিকে ন্যাশনাল স্টার্টআপ ডে হিসাবে পালন করা হবে। নতুন বছরে সেরা স্টার্ট আপ অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এর সম্মানে সম্মানিত হয়েছে টাটার স্টার্ট আপ (Start Up) রেপোস। বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার স্টার্টআপ সংস্থা রয়েছে ভারতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশীয় বাজারে স্টার্টআপের সাফল্যের পিছনে একটি বড় কারণ হল এই স্টার্টআপ সংস্থাগুলোর ওপর বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ। বলা বাহুল্য, বিনিয়োগকারীরা এখন স্টার্টআপগুলোতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ন্যাসকম (NASSCOM) এবং জিনোভ (Zinnov)-এর একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালে ২ হাজার ২৫০ টিরও বেশি স্টার্টআপের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালের তুলনায় এই স্টার্টআপের (Startup) সংখ্যা প্রায় ৬০০ মত বেশি। উল্লেখ্য, ভারতীয় স্টার্টআপগুলি ২০২১ সালে ১ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রাক-কোভিড সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি তা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টার্টআপগুলিও আরও উন্নত মানের প্রযুক্তির ব্যবহার করছে এবং সেই সঙ্গে দক্ষ লোকের সন্ধান করছে। এর সঙ্গে সঙ্গে ভারতের প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে স্টার্টআপ বেস ক্রমেই বাড়ছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা অনেক ক্ষেত্রেই ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত হচ্ছেন। একটি সমীক্ষায় প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ২৪০০-র বেশি বিনিয়োগকারী ভারতীয় স্টার্টআপগুলির জন্য ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত৷ স্টার্টআপের বাজারে বিদেশি বিনিয়োগের বেশিরভাগই আসছে আমেরিকা থেকে। আমেরিকার পাশাপাশি অন্যান্য বিনিয়োগের পথও প্রসস্থ হয়েছে।
ন্যাসকমের সভাপতি দেবযানী ঘোষ জানিয়েছেন, ২০২১ সালে ভারতীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের পারফরম্যান্স থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিভিন্ন সেক্টরের স্টার্টআপগুলির উদ্যোগ। ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নতিতেও স্টার্টআপগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ন্যাসকমের সভাপতির মতে, আগামীদিনে স্টার্টআপগুলো আরও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে। অন্যদিকে জিনভের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পারি নটরাজন বলেছেন, ২০২১ সাল ভারতীয় স্টার্টআপগুলির জন্য একটি দুর্দান্ত বছর ছিল। ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল এবং চিনের তুলনায় ভারতে স্টার্টআপের সংখ্যার দিক থেকে বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। ২০২১ সালে আইপিও-র দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছিল ১১ টি স্টার্টআপ। শুধু তাই নয়, শেয়ারবাজারে ৪৪ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা লাভ করেছিল স্টার্টআপগুলো। ২০২০ সালের তুলানায় ২০২১ সালে স্টার্টআপের মার্কেট ভ্য়ালু দ্বিগুণ বেড়েছে। উল্লেখ্য, গত এক দশকে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে সরাসরি চাকরি হয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজারের। আর পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে ৩৪ লাখেরও বেশি।