সংক্ষিপ্ত
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। ইম্পোর্ট ডিউটি ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এক ধাক্কায় সোনার দাম ৩.৫ শতাংশ কমে যাবে।
বিয়ের মরশুমে সোনার দামে(Gold Price) পতনের কোনও নাম লক্ষণই নেই। প্রায় প্রতিদিনই সোনার দামের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হয়ে চলেছে। কোনও দিন যদিও বা সোনার দামে সামান্য পতন দেখা যায় সেই দাম মোটেই স্বস্তি দেয় না সাধারণ ক্রেতাকে। তবে এবার হয়তো সোনার দামে খানিকটা স্বস্তি পেতে পারে আম ক্রেতা। সুত্রের খবর অনুযায়ী, বাণিজ্যমন্ত্রক সোনার উপর আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমদানি শুল্ক(Import Duty) ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির বক্তব্য অনুযায়ী, আমদানি শুল্ক(Import duty) কম হলে সোনার দামও অনেকটাই কমবে। এক ধাক্কায় সোনার দামে(Gold Price) বিরাট পতন লক্ষ্য করা যাবে। ৩.৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমবে। সরকার এর আগের বাজেটে সোনা আর রুপোর আমদানির ওপর শুল্ক কম করেছিল। ইম্পোর্ট ডিউটিকে ১২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছিল। অন্যদিকে এখন এই শুল্ক ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ পর্যন্ত করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শুল্ক কম হওয়ায় বেশ খানিকটা সস্তা হবে সোনা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুযায়ী, আমদানি শুল্ক (Import Duty)কম হওয়ায় সোনা আর রুপোর দাম সস্তা হবে। এক ধাক্কায় সোনার দাম ৩.৫ শতাংশ কমে যাবে। অন্যদিকে এমনটা হলে বিনিয়োগকারীদের ট্রেডিংয়েও অংশ নেওয়া বাড়বে। এছাড়াও এই ক্ষেত্রে সংগঠিত ব্যবসাও উৎসাহিত হবে। দাম কমার ফলে স্মাগলিং আটকানোও অনেকটা সহজ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাদের বক্তব্য সরকারের এই পদক্ষেপ বুলিয়ন ইন্ডাস্ট্রি আর বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক প্রমাণিত হবে।
সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে উৎসব আর বিয়ের কারণে সোনার চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। সেই বিষয়টিকে সামনে রেখেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,সোনার গয়নার চাহিদা ১০ বছরের রেকর্ডও ভাঙতে পারে। প্রসঙ্গত, দেশের যতটা সোনা কেনাবেচা হয়, তার অধিকাংশ অংশ বিদেশ থেকে কেনা হয়। গত কয়েক বছরে, যে কোনও অর্থ বর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সোনার আমদানি পরিসংখ্যান দেখলে জানা যাবে, ২০১৪-১৫-য় অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩৩৯.৩ টন সোনা আমদানি করা হয়েছে। এখন ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বক্তব্য, ১০ বছরের রেকর্ড ভাঙার ফলে আমদানির পরিমানও বেশ খানিকটা বাড়বে।
আরও পড়ুন-Gold Price Today-ফের খানিকটা উর্ধ্বমুখী সোনার দামের পারদ, দিশেহারা সাধারণ মানুষ
আরও পড়ুন-Gold Price Today-স্বস্তি ফেরেনি সোনার দামে, বিয়ের মরশুমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের সিইও সোমাসুন্দরম পিআর-এর বক্তব্য, ভারতে সোনালি ধাতুর চাহিদা প্রধানত অশুদ্ধ সোনার আমদানির উপরই বেশি নির্ভরশীল। বর্তমান বাজারের দিকে নজর রাখলে বোঝা যাবে ২০২২ সালে সোনার আমদানি চলতি বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে। আর এর প্রধান কারণ হিসাবে অর্থনীতিতে দ্রুতগতিতে গয়নার চাহিদা বাড়াকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।