সংক্ষিপ্ত
গ্রাহকরা প্রতিটি চ্যানেল আলাদা ভাবে দেখতে চাইলে বিভিন্ন চ্যানেলের দাম কত বরাদ্দ করা হবে তা নির্ধারণ করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল সম্প্রচারকারীদের। কিন্তু অনেকেই সেই সুযোগের অপব্যবহার করছেন।গ্রাহকরা প্রতিটি চ্যানেল আলাদা ভাবে দেখতে চাইলে বিভিন্ন চ্যানেলের দাম কত বরাদ্দ করা হবে তা নির্ধারণ করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল সম্প্রচারকারীদের। কিন্তু অনেকেই সেই সুযোগের অপব্যবহার করছেন
২০২০, বিশ সালটা গোটা পৃথিবী জুড়ে বিষ বছরে পরিণত হয়েছে। সৌজন্যে অতিমারি করোনা(Covid)। দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল জনজীবন(Daily life)। ভোরের আলো ফোটা থেকে রাতের অন্ধকারেও ছুটে চলত অ্যম্বুলেন্স(Ambulance)। কাছের মানুষকে হারানোর ভয়ে রাতের পর রাত জেগে কাটিয়েছে কত পরিবার। একদিকে যখন করোনার থাবায় গোটা বিশ্ব মহামারির আকার নিয়েছে সেই সময় অগ্নিমূল্য বাজার, চড়া তেলের দামে একেবারে বিপর্যস্ত সাধারণ জনজীবন। এই সবের মাঝে হঠাৎ করেই টিভি(TV) দেখার খরচ(Expence) বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা গিয়েছে। এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই(TRAI)। এই সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, গ্রাহকরা প্রতিটি চ্যানেল আলাদা ভাবে দেখতে চাইলে বিভিন্ন চ্যানেলের দাম কত বরাদ্দ করা হবে তা নির্ধারণ করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল সম্প্রচারকারীদের। কিন্তু অনেকেই সেই সুযোগের অপব্যবহার করছেন। তবে এই জিনিস আগামি দিনে কোনওভাবেই বরদাস্থ করা হবে না বলে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ট্রাইয়ের(TRAI) পক্ষ থেকে। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নেবে ট্রাই।
ট্রাইয়ের তরফে আরও জানান হয়েছে, গত বছরই কেবল(Cable) ও ডিটিএইচ(DTH) পরিষেবার নিয়মকানুনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল যাতে গ্রাহকরা তাঁদের সাধ্যের করোনা(Covid) পরিস্থিততিতে ঘরে বসেই নিজেদের এন্টারটেইন(Entertain) করতে পারেন। কিন্তু নিয়মে পরিবর্তন এনেও গ্রাহকরা লাভবান তো হয়নি বরং সম্প্রচারকারীদের একাংশ বেশ চড়া মাসুল ঘোষণা করেছেন। বিশেষ করে বিনোদন(Entertanment) ও খেলার(Sports) চ্যানেল দেখার জন্য বাড়তি ১০০ টাকা দিতে হচ্ছে। ট্রাইয়ের(TRAI) তরফে অভিযোগ জানিয়েছে এমটাও বলা হয়েছে যে, মাসুল বাড়ানোর নেপথ্য কারন হিসাবে নতুন নিয়মের দোহই দিয়েছে বিভিন্ন কেবল ও ডিটিএইচ সংস্থা যেটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বর্তমান পরিস্থিতে অনেকেই ঘরবন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে বিনোদনের(Entertain) অন্যতম অঙ্গ টেলিভশন(TV)। আর সেই টিভি দেখার খরচও যদি দিনে দিনে আকাশ ছোঁয়া হয় তাহলে দৈনন্দিন জীবন(Daily) কিছুটা হলেও ফিকে হয়ে যাবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ট্রাইয়ের দাবি, তারা জানে নিয়ম মানার অছিলায় কোন সম্প্রচারকারীরা গ্রাহকের স্বার্থ বিরুদ্ধ কাজ করছে নিজেদের পকেট ভারি করছে। গ্রাহকদের বোকা বানিয়ে তাঁদের থেকে মোটা অঙ্কের মুনাফা না করতে পারে সেটা দেখাই ছিল ট্রাইয়ের প্রধান লক্ষ্য(Focus)। বলা বাহুল্য, কিছু সংস্থা গ্রাহকদের বেশ কিছু সুবিধাও(Facilities) দিচ্ছে। তবে যে সব সংস্থা নিয়ম ও স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে তাদেরকে একহাত নেবে ট্রাই।