সংক্ষিপ্ত
ইউনিয়ন বাজেটে বাড়ত পারে পিএম কিষাণ যোজনার টাকা। ৬ হাজার টাকা বেড়ে হতে পারে ৮ হাজার টাকা। আগামী অর্থ বর্ষে ৩ টে কিস্তির বদলে ৪ টি কিস্তিতে প্রতিবার ২ হাজার টাকা করে মোট ৮ হাজার টাকা পেতে পারেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারী সংসদে পেশ হতে চলেছে কেন্দ্রের ইউনিয়ন বাজেট ২০২২-২৩ (Union Budget 2022-23) । আসন্ন ইউনিয়ন বাজেটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মহল। একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman)বাজেট পেশ করবেন। উল্লেখ্য, গরীর কৃষকদের জন্য মোদী সরকার বহু প্রকল্প চালু করেছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষকনিধি যোজনার আওতায় প্রতিটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দশম কিস্তির টাকা। এই যোজনার শুরুর দিন থেকে এখনও পর্যন্ত ১০ কোটিরও বেশি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে মোট ১.৮ কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ঠিক আগে কৃষকদের জন্যে পিএম কিষাণ যোজনার (PM Kishan Yojona) সুবিধা নিয়ে আসে মোদী সরকার। আসন্ন ইউনিয়ন বাজেটেও কৃষকদের জন্য কেন্দ্র বিশেষ কিছু সুবিধা আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী পাঁচ রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। আর ঠিক ভোটের আগেই পেশ হবে বাজেট। এর ফলে এই বাজেটে কৃষকদের (Farmers) জন্যে কোনও বড়সড় উপহার থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন তাঁদের জন্যও বড় কিছু ঘোষণা করা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার আওতায় বছরে ৬ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। এই টাকা থেকে কৃষকরা বিশেষভাবে উপকৃত হয়ে থাকেন সেই কথা বলাই বাহুল্য়। ইউনিয়ন বাজেটে এই টাকার পরিমান ৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে। কৃষকদের জন্য ২ হাজার টাকা যদি বাড়ানো হয় তাহলে গরীব চাষীদের মুখে যে চওড়া হাসি ফুটবে সে কথা কিন্তু বলার অপেক্ষাই রাখছে না। কেন্দ্রের বাজেটকে ঘিরে সকলেরই প্রত্যাশার পারদ ক্রমশ চড়ছে। একদিকে করোনা পরিস্থিতি তো অন্যদিকে সমস্ত কিছুর মূল্যবৃদ্ধি হয়েই চলেছে। সেই সেই দিক থেকে তাকিয়ে সাধারণ মানুষ যেমন আশা করছেন ইউনিয়ন বাজেটে হয়তো বেশ কিছু জিনিসে ছাড় মিলবে, তেমনই কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসের দামও কমানোর কথা ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সারের দজামও কমতে পারে বাজেটে।
বর্তমানে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে বছরে ৬ হাজার টাকা পাঠানো হয়ে থাকে। চার মাসের ব্যবধানে ২ হাজার টাকা করে তিনটি কিস্তিতে এই টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়ে থাকে। ইউনিয়ন বাজেটে যদি এই টাকার পরিমান ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ান হয় তাহলে আগামী আর্থিক বছরে ২ হাজার টাকা করে তিনটের বদলে চারটি কিস্তি পেয়ে যাবেন কৃষকরা।