সংক্ষিপ্ত
দেশের তৃতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর সংস্থার বিপুল পরিমাণ বকেয়া রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। তা ইক্যুইটিতে রূপান্তরিত করার পর কেন্দ্রের হাতে ৩৫.৮ শতাংশ শেয়ার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ভোডাফোন গ্রুপ পিএলসি-র হাতে থাকবে ২৮.৫ শতাংশ শেয়ার। আর সেখানে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের হাতে থাকবে ১৭.৮ শতাংশ শেয়ার।
স্পেকট্রামের নিলামে (Spectrum Auction) সুদের অর্থ ও স্পেকট্রামের বকেয়া টাকা মেটাতে না পেরে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে প্রায় ৩৬ শতাংশ শেয়ার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভোডাফোন (Vodafone Idea)। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর সংস্থার বিপুল পরিমাণ বকেয়া রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) কাছে। তা ইক্যুইটিতে (equity) রূপান্তরিত করার পর কেন্দ্রের হাতে ৩৫.৮ শতাংশ শেয়ার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ভোডাফোন গ্রুপ পিএলসি-র হাতে থাকবে ২৮.৫ শতাংশ শেয়ার। আর সেখানে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের হাতে থাকবে ১৭.৮ শতাংশ শেয়ার।
২০১৬ সাল থেকেই ভোডাফোনের আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। অবস্থা রীতিমতো টালমাটাল। কিন্তু, এক সময় এর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। দেশের বেশিরভাগ গ্রাহকের ফোনেই ছিল এই সংস্থার সিম। এরপর বাজারে আসে জিও। তাদের আকর্ষণীয় অফারের জেরে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে ভোডাফোনের মার্কেট। ভোডাফোনের মার্কেটের অনেকটাই দখল করে নিয়েছে জিও। যা ভোডাফোনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। আত্মপ্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই দেশের এক নম্বর টেলিকম অপারেটর হয়ে উঠেছে জিও। আর সেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এখন অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে ভোডাফোনকে। কিন্তু, এই মুহূর্তে খুব বেশি সংখ্যক গ্রাহকের মন জয় করতে পারেনি ভোডাফোন। ফলে বাজারে অনেক বকেয়া রয়ে গিয়েছে। আর সেই পরিস্থিতিতে সামাল দিতে না পেরে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শেয়ার তুলে দিতে হচ্ছে ভোডাফোনকে।
গত কয়েক বছর ধরেই আর্থিক লাভ হচ্ছে না ভোডাফোনের। অনেক গ্রাহকই এই সংস্থার সংযোগ ছেড়ে দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ভোডাফোন গ্রুপ ও কুমার মঙ্গলম বিড়লার যৌথ মালিকানাধীন সংস্থা। বাজারে টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়েই তারা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শেয়ার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। কেন্দ্রীয় সরকারকে ৩৫.৮ শতাংশ শেয়ার দিচ্ছে তারা। আর তার মধ্যে ভোডাফোন গ্রুপ পিএলসি-র হাতে থাকবে ২৮.৫ শতাংশ শেয়ার। আর সেখানে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের হাতে থাকবে ১৭.৮ শতাংশ শেয়ার।
এ প্রসঙ্গে শেয়ার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভোডাফোন আইডিয়া সংস্থার এই পদক্ষেপ কিছুটা অপ্রত্যাশিত। কারণ, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার রিলিফ প্যাকেজ ঘোষণার পর ভোডাফোন আইডিয়ার হাতে নগদের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। ফলে এরপর ভোডাফোন আইডিয়া তহবিল গড়ার জন্য একটি নতুন পদক্ষেপের পথে হাঁটবে বলেও মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু, তা না করে এই পরিস্থিতির মধ্যে সরকারের হাতে শেয়ার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এই সিদ্ধান্তের ফলে সংস্থার কতটা লাভ হবে সেটা পরে জানা যাবে। কারণ তাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে সরকারের হাতে থাকবে বেশি পরিমাণ শেয়ার। ফলে তাদের লাভ কতটা হবে বা ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা হবে কিনা তা পরে বোঝা যাবে।