সংক্ষিপ্ত
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দুই দেশের পরিস্থিতি যেমন সংকটজনক অবস্থায় পৌঁছেছে ঠেক তেমনই প্রভাব পড়ছে অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। রাশিয়া ও ইউক্রেন দুটি দেশই যখন রফতানি শিল্পের আঁতুরঘর তখন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সরবরাহ ব্যহত হলে গমের দামও হবে আকাশছোঁয়া। পরোক্ষভাবে বৃদ্ধি পাবে আটা ময়দার দামও।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) আজ দশম দিন। এই দুই দেশের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ধস নেমেছে বাণিজ্য মহলে। এক ধাক্কায় যেমন ধস নেমেছে শেয়ার মার্কেটে তেমনই বিভিন্ন দেশ বয়কট করেছে রাশিয়ান প্রোডাক্টকে। সেই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে কোকাকোলার ব্যবসা চালাচ্ছে বলে ইউক্রেনও বয়কট করেছে এই মার্কিন সংস্থাকে। সব মিলিয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দুই দেশের পরিস্থিতি যেমন সংকটজনক অবস্থায় পৌঁছেছে ঠেক তেমনই প্রভাব পড়ছে অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। উল্লেখ্য, বিশেষ করে যে দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়া বা ইউক্রেনের আমদানি অথবা রফতানির সম্পর্ক রয়েছে (Import And Export Relation), তাঁদের জন্য সমস্যা আরও বেড়েছে। রাশিয়া বিশ্বের বহু দেশেই খাদ্যশস্য, অপরিশোধিত তেল সহ অন্যান্যা বিভিন্ন জিনিস রফতানি করে থাকে। যুদ্ধকাীন পরিস্থিতিতে সেই রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার দরুণ অগ্মিমূল্য হয়েছে জিনিসের দাম। চাপ বাড়বে মধ্যবিত্তের হেঁসেলে।
উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম রফতানিতে (Wheat Price May Hike) প্রভাব ফেলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি। আশঙ্কা করা হচ্ছে যুদ্ধ পরিস্থিতি যদি আরও প্রকট হয় তাহলে আগামী দিনে গমের সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চিন ও ভারতের পর সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদনকারী দেশ হল রাশিয়া। সেই সঙ্গে গম রফতানির দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে গম রফতানিতে পঞ্চমস্থানে রয়েছে ইউক্রেন। দুই দেশই যখন রফতানি শিল্পের আঁতুরঘর তখন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সরবরাহ ব্যহত হলে গমের দামও হবে আকাশছোঁয়া। পরোক্ষভাবে বৃদ্ধি পাবে আটা ময়দার দামও। প্রসঙ্গত,কিছুদিন আগে পর্যন্তও ২ হাজার টাকা কেজি দরে স্থানীয় বাজারে প্রতি কুইন্টাল গম বিক্রি হচ্ছিল। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বৃহস্পতিবার প্রতি কুইন্টাল গম বিক্রি হয়েছিল ২৪০০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু শুক্রবারই একলাফে সেই দাম বেড়ে প্রতি কুইন্টাল হয়েছে ২৫০০ টাকা।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কৃষিমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ২০২১-২২ সালে রেকর্ড মাত্রায় গম উৎপাদন হয়েছে। আনুমানিক ১১১.৩২ মিলিয়ন টন গমের উৎপাদন হয়েছে হলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে APEDA-এর তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ সালে ভারতে ২০,৮৮,৪৮৭.৬৬ মেট্রিক টন গম রফতানি করা হয়েছে, যার মোট টাকার পরিমান ৪,০৩৭.৬০ কোটি টাকা। ভারত প্রধানত নেপাল, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা এবং ইয়েমেনে গম রফতানি করে থাকে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গোটা বিশ্বে গম রফতানিতে সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে বলে মনে করা হচ্ছে APEDA-এর রিপোর্টে।