সংক্ষিপ্ত

গত সপ্তাহেই প্রকাশিত হয়েছে NCERTর দ্বাদশ শ্রেণীর সংশোধিত পাঠ্যপুস্কত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ের সংশোধন চোখে পড়ার মত।

 

ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা NCERT মুছে ফেলল বাবরি মসজিদের নাম। দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা পলিটিক্যাল সায়েন্সের পাঠ্যপুস্তকের বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করা হয়েছে। যার মধ্য়ে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল বাবরি মসজিদের নাম পরিবর্তন। এখন যেখানে অযোধ্যার রাম মন্দির ছিল আগে সেখানে কি ছিল - এই জায়গায় লেখা হয়েছে তিনটি গম্বুজের কাঠামো। অযোধ্যা বিষয়ক অধ্যায় চার পৃষ্ঠা থেকে দুই পৃষ্ঠায় করা হয়েছে। NCERT-র নতুন পাঠ্যপুস্তকে লেখা হয়েছে, 'সেখানে ছিল তিনটি গম্বুজওয়ালা এক স্থাপত্য। যা ১৫২৮ সালে তৈরি করা হয়েছিল রামের জন্মস্থান। যার দেওয়াল জুড়ে ছিল হিন্দু ধর্মের প্রতীক ও হিন্দু পুরাণের নিদর্শনের ছড়াছড়ি।'

গত সপ্তাহেই প্রকাশিত হয়েছে NCERTর দ্বাদশ শ্রেণীর সংশোধিত পাঠ্যপুস্কত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ের সংশোধন চোখে পড়ার মত। পুরনো বইয়ে অযোধ্যার ইতিহাসের বিবরণ ছিল ৪ পাতাজুড়ে। বর্তমানে অযোধ্যা নিয়ে পৃষ্ঠা সংখ্যাও কমিয়ে করা হয়েছে দুই পাতায়। NCERT হল একটি কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অধীন একটি স্বয়ংশাসিত সংস্থা।

পুরনো বইটিতে ১৯৮৬ সালের ফৈজাবাদ জেলা আদালতের উপাসনার জন্য মসজিদ খেলার সিদ্ধান্তের বিশদ বিবরণ রয়েছে। যেখানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আর দাঙ্গার দিকে পরিচালিত হওয়ার ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু নতুন বইয়ে সেই ঘটনাগুলি ছোট করে বলা হয়েছে। পাল্টা সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৮৬ সালে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট স্থাপত্যের তালা খোলার পর যখন সেখানে কিছু মানুষকে প্রার্থনার অনুমতি দেয় ফৈজাবাদ আদালত। তখন হিন্দুরা অবহেলিত বোধ করেছিলেন। বইয়ে লেখার হয়েছে হিন্দুরা মনে করেছিল রাম জম্মভূমি ও ভগবান শ্রীরামকে নিয়ে তাদের আবেগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অন্য দিকে মুসলিম সম্প্রদায় চেয়েছিল ওই স্থাপত্যের ওপর তাঁদের অধিকার কায়েম করতে।

অন্যদিকে পাঠ্যক্রম থেকে মুছে ফেলা হয়েছে গুজরাট দাঙ্গার অধ্যায়। গণতান্ত্রিক অধিকারের অধ্যায় থেকে গুজরাট দাঙ্গার কথাও মুছে ফেলা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে NCERT বইয়ের চতুর্থ সংশোধন সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উন্নয়মের উপর ভিত্তি করে আপডেটগুলি প্রতিফলিত করে। নতুন পাঠ্যপুস্তকটি ২০২৪-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য বাস্তবায়িত হবে। NCERT সিলেভাস মেনে চলে সিবিএসসি বোর্ড। আইসিএসসি ও আইএসসি বোর্ডও NCERTর পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে।