সংক্ষিপ্ত
টিকা নেওয়ার পরও হচ্ছে করোনা
কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দুটি টিকার ক্ষেত্রেই এটা সত্য
কিন্তু কত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন টিকা নিয়েও
কী জানালো আইসিএমআর
টিকা নিলেই যে কোভিড আর হবে না, এমনটা নয়। তবে কোভিড হওয়ার সম্ভাবনা নিশ্চিতভাবেই অনেকটা কমে যায়। একই সঙ্গে টিকা নিয়ে সংক্রামিত হলেও, টিকার জোরে কোভিড গুরুতর আকার ধারণ করতে পারবে না। এমনটাই বলছে সরকারি তথ্য। বুধবার, আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডা. বলরাম ভার্গব বলেছেন, 'টিকা নেওয়ার পর কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রতি ১০,০০০ জনে মাত্র ২ থেকে ৪ জন।'
বুধবার, আইসিএমআর-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ভারতে, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভাক্সিন টিকা দেওয়া হয়েছে ১.১ কোটি মানুষকে। এর মধ্যে প্রায় ৯৩ লক্ষ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন আর প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ দুটি ডোজই পেয়েছেন। প্রথম ডোজ পাওয়া ৯৩ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৪,২০৮ জনের কোভিড হয়েছে। আর দুটি ডোজই পাওয়া ১৭ লক্ষ মানুষের মদ্যে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৬৯৫ জন। অর্থাৎ, দুটি ক্ষেত্রেই (একটি ও দুটি ডোজ নেওয়া) মাত্র ০.০৪ শতাংশ মানুষ কোভিড সংক্রামিত হয়েছেন।
কোভাক্সিন-এর তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে টিকাটির অন্তর্বর্তীকালীন কার্যকারিতা প্রায় ৮১ শতাংশ। অন্যদিকে সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড টিকার কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ। এই কার্যকারিতার উপরই কোনও টিকা কোনও নির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে কতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে, তা নির্ধারিত হয়। কিন্তু, আইসিএমআর-এর তথ্য বলছে, কোভিশিল্ড টিকা নেওয়া মানুষদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এখনও পর্যন্ত ভারতের প্রায় ১০ কোটি মানুষ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার তৈরি এই টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭,১৪৫ জন টিকা নেওয়ার পর কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া দেড় কোটিরও বেশি মানুষ কোভিশিল্ডের লোক দ্বিতীয় ডোজও পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫,০১৪ জন করোনা ইতিবাচক। অর্থাৎ শুধু প্রথম ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের ০.০২ শতাংশ এবং দুটি ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের ০.০৩ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই পরিসংখ্যান থেকে সার্বিক চিত্রটা ধরা যাচ্ছে না। কারণ ভারতে প্রথম দিকে চিকা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ। তাঁদের প্রত্যেকেরই কোভিড সংক্রামিত হওয়ার উচ্চ-ঝুঁকি রয়েছে। ১ মে থেকে সর্বসাধারণের জন্য টিকাদান কর্মসূচি উন্মুক্ত হয়ে গেলে টিকা নেওয়ার পরও কোভিড পজিটিভ হওয়ার সংখ্যা আরও অনেকটাই কম হবে, এমনটাই বলেছেন নীতি আয়োগের সদস্য ডা. ভি কে পল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ভারতের প্রায় ৮৭ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৭৯ শতাংশ সামনের সারিতে থাকা অন্যান্য পরিষেবার কর্মীরা, টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন।