সংক্ষিপ্ত

মুম্বইতে (Mumbai) ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার মুম্বইতে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২০ হাজার ৯৭১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। 

কোভিডের (Covid) তৃতীয় ঢেউয়ের থাবা ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে বাণিজ্য নগরী মুম্বই (Mumbai) ও মহারাষ্ট্রের (MahaRashtra)ক্ষেত্রে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় এখানকার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল সেই কথা আমাদের সকলের জানা। বর্তমান পরিস্থিতি দ্বিতীয় ঢেউয়ের মত ভয়ঙ্কর না হলেও, ক্রমবর্ধমান করোনা (Corona)গ্রাফ কিন্তু কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া করছে। কারণ শুক্রবার মুম্বইয়ের  গত ২৪ ঘণ্টার যে রিপোর্ট এসেছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের। কারণ শুক্রবার মুম্বইতে মোট ২০ হাজার ৯৭১ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৮৪ শতাংশ মানুষ উপসর্গবিহীন বলে জানা যাচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইতে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট ১৩৯৫ জনকে হাসপাকালে ভর্তি করা হয়েছে। মুম্বইতে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জন  মুম্বই পুলিস করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

কিন্তু বাণিজ্য নগরীতে সংক্রমণের হার প্রায় ২১ হাজারেল দোরগোড়ায় থাকায় অশনি সংকতে দেখছে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। আগামি কয়েক দিনে এই হার আরও বাড়ব বলে ইনমনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রেস স্থানীয় প্রশসানকে আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করা হচ্ছে। আক্রান্তদেপ মধ্যে ৮৪ শতাংশ উপসর্গবিহীন হওয়ায় আরও দ্রুক সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনাই  বেশি। সংক্রমণে লাগাম টানতে আরও কঠোর বিধি নিষেধ প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। ম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকার বলেছেন, রাতের কারফিউ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আরও বিধিনিষেধ আরোপের বিষযটি এখনও পর্যন্ত মন্ত্রীরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বৈঠকের পর কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে প্রশাসন ইতিমধ্যে রাতে পাঁচ বা তার বেশি ব্যক্তির সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে এবং স্কুল ও কলেজে শারীরিক ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে। তবে মুম্বইতে অক্সিজেনের প্রয়োজন এবং কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা কম হওয়ায় এখনই লকডাউনের কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন মিউনিসিপ্যাল ​​কমিশনার ইকবাল চাহাল।

শুধু মুম্বই নয় মহারাষ্ট্রেও ঝড়ের থেকে দ্রুত গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার মহারাষ্ট্রে মোট করোনার আক্রান্তের সংখ্য়া ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।  রিপোর্ট অনুযায়ী শুক্রবার মহারাষ্ট্রে মোট ৪০ হাজার ৯২৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা কিনা ১৩ মে ২০২১-এর পর থেকে এযাবৎ কালে সর্বোচ্চ সংক্রমণ।যেই সংখ্যা সত্যিই উদ্বেগ বাড়ানোর মত। চিকিৎসকদের মতে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ না হলে এই সংখ্য়া আরো দ্রুত গতিতে বাড়বে। প্রসঙ্গত, শুধু মহারাষ্ট্র নয় দেশের অন্যান্য রাজগুলিতে কোভিড সুনামি আছড়ে পড়েছে। শুক্রবারের রিপোর্ট অনুযায়ী দিল্লিতে একদিনে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ৩৩৫ জন মানুষ। বাংলাতেও একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে ১৮ হাজারের গন্ডী টপকছে।