সংক্ষিপ্ত

সপ্তাহের প্রথম দিনই দিল্লিতে ৪ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 

করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে সবথেকে বেশি আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ওমিক্রন (Omicron)। আর এই আতঙ্কই এখন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে (World)। বাদ যায়নি ভারতও (India)। দেশের একাধিক রাজ্যে থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন। রাজধানী দিল্লিতেও (Delhi) থাবা বসিয়েছে করোনার এই নতুন রূপ। সেখানে ৬ মাস পর রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে করোনাতে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ওমিক্রনের দাপটও। সপ্তাহের প্রথম দিনই দিল্লিতে ৪ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়ার অনুমতি দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। 

সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানে তিনি বলেন, বুস্টার ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার অনুমতি দিক কেন্দ্র। রাজধানীতে যেহেতু হঠাৎ করে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাই কেন্দ্রের উচিত মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া।

আরও পড়ুন- সাপ-কুমারের সঙ্গে লড়ে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ আন্দামানে, ভারতে প্রথম

আজই চারজন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে দিল্লিতে। এর ফলে রাজধানীতে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮। আজ যে চারজনের শরীরে ওমিক্রনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে তাঁর এই মুহূর্তে ম্যাক্স হাসপাতালে (Max Hospital) ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওমিক্রন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু দিন ধরে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর সেই কারণে এখন দিল্লিতে যত জন করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন তাঁদের সবার সোয়াবের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। তার থেকে বোঝা যাবে যে কোথাও ভ্রমণ না করেও কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন কিনা।  

তবে এনিয়ে দিল্লিবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়লে দিল্লি সরকার হাসপাতালের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখছে। তার ফলে কোনও চিন্তা থাকবে না। এদিকে দিল্লিতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার একদিনে ১০৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৭ জুনের পর একদিনে প্রথমবার একসঙ্গে এতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। তার সঙ্গে আবার তাল মিলিয়ে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যাও। সপ্তাহের শুরুতে সেই সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একটি নতুন প্রজাতি সামনে আসা মানে এই নয় যে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তবে ওমিক্রনের জন্য পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এখনও মহামারী শেষ হয়নি। বিশ্বে এই মুহূর্তে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ওমিক্রনের জেরে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে।