সংক্ষিপ্ত


প্রথবার করোনা পরীক্ষার পর ১৫ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও করোনামুক্ত হতে পারলেন না বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্ত ডাক্তার।
 

প্রথবার করোনাভাইরাস ইতিবাচক (Coronavirus Positive) সনাক্ত হওয়ার পর ১৫ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও পুরোপুরি করোনামুক্ত হতে পারলেন না ভারতের প্রথম ওমিক্রন (Omicron) রোগী। বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) ৪৬ বছরের ডাক্তার, এখন পুরোপুরি উপসর্গমুক্ত হলেও, মঙ্গলবার তাঁর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল ফের ইতিবাচক এসেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে, এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বেঙ্গালুরু পুরসভা বা বিবিএমপি-র (BBMP) এক কর্মকর্তা। তাই, তাঁকে এখনও বেঙ্গালুরুর শুধুমাত্র ওমিক্রন আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

ওমিক্রন  আক্রান্ত এই ডাক্তার, বেঙ্গালুরু শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। ১৮ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর, ইন্ডিয়ান কলেজ অফ কার্ডিওলজির (Indian College of Cardiology) ২৮তম বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে শহরের এক হোটেলে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২১ নভেম্বর তাঁর জ্বর এসেছিল সঙ্গে প্রবল গায়ে ব্যথা অনুভব করেছিলেন তিনি। তার পরের দিনই তিনি করোনার আরটি-পিসিআর টেস্ট করিয়েছিলেন এবং ফল ইতিবাচক এসেছিল। প্রথমে বাড়িতে থাকলেও, তিনদিন পর হাসপাতালে ভর্তি হন। 

২৫ নভেম্বর মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির (Monoclonal Antibodies) ডোজ দেওয়া হয়েছিল। পরের দিনই তিনি করোনার উপসর্গ মুক্ত হয়েছিলেন। ২৯ তারিখ তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। তবে, তাঁর 'সিটি ভ্যালু' (CT Value) কম ছিল, অর্থাৎ ভাইরাল লোড বেশি ছিল বলে, কর্নাটকের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যা তাঁর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠানো হয়েছিল বলে, জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর (K Sudhakar)। গত বৃহস্পতিবার, (২ ডিসেম্বর) তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন জানার পর, তাঁকে বেঙ্গালুরুর এই ওমিক্রন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। 

মঙ্গলবার, তাঁর প্রথম করোনা পরীক্ষার দুই সপ্তাহের মাথায় ফের একবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাতেই দেখা গিয়েছে, এখনও নভেল করোনাভাইরাস রয়েছে ওই ডাক্তারবাবুর শরীরে। তাঁর স্ত্রীও পরে করোনা পজিটিভ হিসাবে সনাক্ত হয়েছেন। দুই মেয়ে অবশ্য করোনা নেগেটিভ। তাদেরকেও ওই একই হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। 

এদিকে, ওমিক্রন আক্রান্ত ডাক্তার যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন, সেখানে, সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ জন চিকিত্সক উপস্থিত ছিলেন। বিবিএমপি কর্মকর্তারা এখন সম্মেলনে যোগদানকারী ওই চিকিত্সকদের সন্ধান করছেন। ওমিক্রন আক্রান্ত ডাক্তার-সহ এখনও পর্যন্ত ৩ জনের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এসেছে। তবে, যেহেতু বেঙ্গালুরুর ডাক্তারবাবু এর মধ্যে বিদেশ ভ্রমণ করেননি, তাই তাঁর দেহে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট কোথা থেকে এল, তা এখনও ধাঁধায় রেখেছে বিবিএমপি ও রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগকে। তাঁর ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের সংক্রমণের উত্স এখনও খুঁজে পাওযা যায়নি।