সংক্ষিপ্ত
ভারত বায়োটেকের কাছে অতিরিক্ত কোভ্যাক্সিন চেয়েছিল দিল্লি
কিন্তু, হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাটি তা দিতে অস্বীকার করেছে
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা
বিস্ফোরক অভিযোগ করল দিল্লি সরকার
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে বেহাল অবস্থা দিল্লির। এই অবস্থায়, বাসিন্দাদের বেশিরভাগ অংশকে দ্রুত করোনা টিকা দেওয়ার জন্য ভারত বায়োটেকের কাছে অতিরিক্ত কোভ্যাক্সিন চেয়েছিল দিল্লি। কিন্তু, হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাটি তা দিতে অস্বীকার করেছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ রয়েছে। বুধবার সকালে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করল দিল্লি সরকার।
শুধু অভিযোগ নয়, দিল্লির অতিরিক্ত ভ্যাকসিন চাহিদার বিষয়ে, দিল্লি সরকারকে, ভারত বায়োটেক সংস্থার পাঠানো চিঠিটিও টুইট করে প্রকাশ্যে এনেছেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। সেই চিঠিতে সংস্থার পক্ষ থেকে দিল্লি সরকারকে জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিন টিকার সরবরাহ সীমিত, তাছাড়া এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। তাই দিল্লিকে অতিরিক্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ করা সম্ভব নয়।
চিঠিটি টুইট করে সঙ্গের ক্যাপশনে মণীশ সিসোদিয়া লিখেছেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাকসিন অব্যবস্থা - সরকারী নির্দেশনা এবং সীমিত প্রাপ্যতার কথা উল্লেখ করে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে কোভাক্সিন। আমি আবারও বলব ৬.৬ কোটি ডোজ রফতানি সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। সরবরাহের অভাবের কারণে আমরা ১৭টি স্কুলে স্থাপিত ১০০ টি কোভাক্সিন-টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছি।'
আরও পড়ুন - কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে কেন বেশি আক্রান্ত যুবরা, ২টি কারণ দিলেন ICMR প্রধান
আরও পড়ুন - মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ২০০০, মৃত্যুর খবর অন্যান্য রাজ্য থেকেও - বিপদ বাড়ছে কালো ছত্রাকের
আরও পড়ুন - ১ মাসে ১০ হাজার থেকে ৩.২৫ লক্ষ শিশি, কোন জাদুতে 'রেমডেসিভির সংকট' কাটালো ভারত
সিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লি, মোট ১.৩৪ কোটি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ চেয়েছিল। কোভাক্সিন এবং কোভিশিল্ড - দুটি ভ্যাকসিনেরই ৬৭ লক্ষ করে ডোজ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, সরকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশ অনুসারেই দিল্লিকে তারা ডোজ দিতে পারবে, তার বেশি সরবরাহ করা সম্ভব নয়। সিসোদিয়ার দাবি, স্পষ্টতই কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকদের কথাই বলেছে ভারত বায়োটেক। তিনি আরও জানান, দিল্লির কাছে যে মজুত ভ্যাকসিন ছিল তা ফুরিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায়, দিল্লি উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে, ভ্যাকসিন রফতানি বন্ধ করার আবেদন করেছেন। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, শুধু দুটি নয়, আরও অন্যান্য সংস্থাকেও করোনা টিকার ডোজ উত্পাদন করার অনুমতি দেওয়ার হোক।