সংক্ষিপ্ত
- করোনাভাইরাসে দৈনিক পপিসংখ্যন ২ লক্ষের বেশি
- বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও
- দ্বিতীয় তরঙ্গে দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ
- করোনা বিধি মানার ওপরে জোর
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে ক্রমশই বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। গতকালই দৈনিক পরিসংখ্যন ২ লক্ষের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। এদিন আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টার মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৮৫ জনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ থেকে দু লক্ষে পৌঁছাতে সময় নিয়েছে মাত্র ৬ দিন। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪২ লক্ষেরও বেশি।
এক নজরে দেশের করোনা চিত্রঃ
এক নজরে দেশের করোনা চিত্রঃ
দৈনিক আক্রান্তঃ ২,১৭,৯৫৩
দৈনিক মৃত্যুঃ ১,১৮৫
দৈনিক সুস্থঃ ১,১৮,৩০২
মোট আক্রান্তঃ ১,৪২,৯১,৯১৭
মোট সুস্থঃ ১,২৫, ৪৭,৮৪৪
মোট মৃত্যুঃ ১,৭৪, ৩০৮
অ্যাক্টিভকেসঃ ১৫.৬৯.৭৪৩
টিকাকরণঃ ১১,৭২,২৩,৫০৯
করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায় এখনও পর্যন্ত শীর্ষ রয়েছে মহারাষ্ট্র। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেরল ও কর্নাটক। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে আরও বেশি করে প্রকট হচ্ছে হাসপাতালগুলি বেহাল দশা। বিশেষত মহারাষ্ট্র ও দিল্লির মত এলাকা। তবে মহারাষ্ট্র পাঁচতারা হোটেলগুলিতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। রেলের তরফ থেকেও বেশ কিছু রেকে শষ্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে দেশে করোনার ওষুধ রেমডেসিভিরের কিছুটা সংকট রয়েছে বলে দাবি করছে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
করোনা আক্রান্ত দেশের ক্রমতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম স্থানে এখনও রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভাইরোলজিস্ট গগনদীপ কউরের মনে করছেন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে প্রায় ১২ সপ্তাহর মত স্থায়ী হওয়ার কথা। সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলেও মনে করছেন তিনি। টিকা কর্মসূচিতে জোর দেওয়ার পাশাপাশি মাস্কের ব্যবহার ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার ওপরেও জোর দিয়েছেন তিনি।