কোভিড পরবর্তী বিশ্ব বদলে যাবে  প্রাক ও পরবর্তী কোভিড নিয়ে আলোচনা হবে  কোভিড মহামারির প্রভাব ভয়ঙ্কর  ভার্চুয়াল সম্মেনলে বললেন নরেন্দ্র মোদী 

বিশ্বের কাছে রীতিমত ধাক্কা করোনাভাইরাসের এই মহামারি। কোভিড পরবর্তী বিশ্ব আর একরকম থাকবে না। আগামী দিনে সমস্ত ঘটনাই প্রাক বা উত্তর কোভিড হিসেবে স্মরণ করা হবে। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল ভেসাক গ্লোবাল সেলিব্রেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবারের অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাস্থ্য কর্মী ও ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছে দেশের বহু মানুষ। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। 

Scroll to load tweet…

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন কোভিড মহামারি প্রতিটি জাতিকে প্রভাবিত করেছে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও বিশাল প্রভাব পড়েছে। মহামারির পরবর্তী সময় বিশ্ব আর একই রকম থাকবে না। আগামী দিনে সমস্ত ঘটনাই স্মরণ করা হবে প্রাক কোভিড আর পরবর্তী কোভিড ঘটনা হিসেবে। তিনি বলেও দেশে ও বিশ্বের উল্লেখযোগ্য পরিবর্ত হয়েছে। ভারতে ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। যেসব বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনের বিকাশের জন্য কাজ করে চলেছেন তাঁদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী। তিনি বলেছেন ভারত সেইসব বিজ্ঞানীদের জন্য গর্বিত, যাঁরা ভ্যাকসিন বিকাশের দিন রাত এক করে পরিশ্রম করছেন। তাঁদের সঙ্গেই চিকিৎক, নার্স, ফ্রন্টলাইন করোনাযোদ্ধাদের কাজের স্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন- সংশ্লিষ্ট মানুষরাই করোনা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এখনই গোটা বিশ্বের কাছে বৌদ্ধ ধর্ম প্রসঙ্গিক। বৌদ্ধ ধর্মের ত্যাগ, উদারতা আর সহমর্মিতা আজই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বিশ্বে যাঁরা করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের কাছেও ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ আর সামঞ্জস্যপূর্ণ। গত বছরও এই অনুষ্ঠানে এই অংশগ্রহণ করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন। গত একবছর ধারাবাহিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েই গোটা বিশ্ব সময় অতিক্রম করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে গোটা বিশ্বের কাছেই মানবতার সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক দশক ধরে বিশ্ব এজাতীয় মহামারি দেখেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ কনফেডারেশন এর সহযোগিতায় সংস্কৃতি মন্ত্রকের উদ্যোগেই বিশ্বব্যাপী সমস্ত বৌদ্ধ মঠের শীর্ষস্থানীয় প্রধানরা এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।