সংক্ষিপ্ত

টিকার পূর্ণ ডোজ দেওয়ার ৯ মাস পর, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের (Covid-19 Vaccine) বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়ার সুপারিশ করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। শনিবার এই নিয়ে বৈঠকে বসবে মন্ত্রিসভার সচিবালয়।
 

টিকার পূর্ণ ডোজ দেওয়ার ৯ মাস পর, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের (Covid-19 Vaccine) বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নিতে হবে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সংসদীয় কমিটিকে এমনই সুপারিশ করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গব (Balaram Bhargava) দাবি করেছেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার নয় মাস পর একটি বুস্টার শট দেওয়া যেতে পারে। এখনও সরকারিভাবে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়নি, তবে, শনিবার দুপুর আড়াইটায় মন্ত্রিসভা সচিবালয়, ওমিক্রন স্ট্রেন (Omicron), কোভিড ভ্যাকসিন এবং ভারতের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করবে। তারপরই বুস্টার শট দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হতে পারে।

অতি সম্প্রতি আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীদের একটি দল, এই নিয়ে গবেষণা করেছে। তাঁরা দেখেছেন, ডেল্টা ভেরিয়েন্টের (Delta Variant) বিরুদ্ধে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রভাব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। তবে, তা ঘটে ৯ মাস পর থেকে। কাজেই ডেল্টা এবং নভেল করোনাভাইরাস বা সার্স-কোভ-২'এর (SARS-CoV-2) অন্যান্য নতুন রূপান্তরগুলিকে নিরপেক্ষ করতে এবং কোভিড-১৯'এর গুরুতর রোগ এবং মৃত্যুকে প্রতিরোধ করতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলির একটি বুস্টার ডোজ, শরীরে প্রতিরক্ষামূলক ইমিউন প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

এর আগে, বুস্টার ডোজ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya) বলেছিলেন, দেশে কোভিড টিকাকরণ এবং মহামারি মোকাবিলা সংক্রান্ত যে দুটি উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে, তাদের পরামর্শ মেনেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভারতে কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযান সম্পর্কে, তিনি জানান, ইতিমধ্যেই প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার ৮৬ শতাংশকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে আরও প্রায় ৭ কোটি ডোজ টিকা পাঠিয়ে রেখেছে কেন্দ্র, সেগুলি এখনও দেওয়া হয়নি। ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের উপর ভ্যাকসিনের প্রভাব বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনার এই নতুন রূপটি ৫০টিরও বেশি দেশ থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের প্রভাব পর্যালোচনা করার জন্য গবেষণা চলছে। 

ভারতে ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের বিস্তারের বিষয়ে এদিন প্রেস কনফারেন্সে বলরাম ভার্গব সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করেন, ওমিক্রন সম্পর্কে আতঙ্ক না ছড়াতে সাহায্য করার জন্য। তিনি আরও জানান, ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট আক্রান্তদের এখনও পর্যন্ত খুবই হালকা উপসর্গ দেখা গিয়েছে। তাই স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার উপর এটি কোনও রকম বোঝা চাপাচ্ছে না। করোনার চিকিৎসা পদ্ধতিও এখনও পর্যন্ত অপরিবর্তিত রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।