সংক্ষিপ্ত

বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এখনই স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি। যদিও স্কুলে বিশেষ সতর্কতা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দিল্লি জুড়ে ফের আতঙ্ক। ফের স্মৃতি ফিরছে এক বছর আগেকার। কোভিড বিধিতে যে শিথিলতা নিয়ে এসেছিল দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রশাসন, তা তুলে নেওয়া হয়েছে। বুধবার দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বা ডিডিএমএ-এর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে একাধিক করোনা বিধি জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

ডিডিএমএ জানিয়েছে বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম কেউ ভাঙলে তাকে ৫০০ টাকা জরিমানা করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এদিন ডিডিএমএ-র বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্ণর। বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এখনই স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি। যদিও স্কুলে বিশেষ সতর্কতা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে একটি পৃথক স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি নিয়ে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি সরকার শীঘ্রই মাস্কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের বিষয়ে একটি অফিসিয়াল নির্দেশিকা জারি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে, মঙ্গলবার, দিল্লিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৬৩২ জন। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা বাড়েনি ও কোভিডের কারণের মৃত্যুর হারও বেশ কম। 

দিল্লির হাসপাতালের অবস্থা

সোমবার সকাল পর্যন্ত, দিল্লির হাসপাতালে কোভিড -১৯ রোগীদের জন্য ৯৬৬২ টি খালি শয্যা রয়েছে। রাজধানীতে বর্তমানে ৯১৫৬টি খালি কোভিড - ১৯ অক্সিজেন শয্যা এবং ২১৭৪টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। দিল্লির হাসপাতালে কোভিড -১৯ রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর সহ প্রায় ১২৪৬টি আইসিইউ শয্যাও পাওয়া যায়। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন সোমবার বলেছিলেন যে দিল্লিতে কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয় যদিও কেস বাড়ছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কম ছিল এবং সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

এদিকে, দিল্লি এবং ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন বা এনসিআরে কোভিড-১৯য়ে আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন হয়ে দিল্লি লাগেয়া প্রতিবেশী রাজ্যগুলোও সাধারণের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে। কোভিড -১৯ এর চতুর্থ তরঙ্গের ভয়ের মধ্যে, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার সরকারগুলি সোমবার তাদের কয়েকটি জেলায় মাস্কের ব্যবহার ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিধি শহরের প্রত্যেকের জন্য, বিশেষ করে স্কুলগুলিতে প্রযোজ্য হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

জল্পনা উস্কে দিয়ে আবারও সনিয়ার কাছে প্রশান্ত কিশোর, তিন দিনে দুবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

ভগবান গণেশের মূর্তি ভুলেও ঘরের মধ্য়ে এমনভাবে রাখবেন না, সিদ্ধাদাতার ছবি নিয়েও সতর্ক হন

রাশিয়ার নতুন টার্গেট রুশ অধ্যুষিত ডনবাস, প্রায় নিশ্চিহ্ন বন্দর শহর মারিউপোল

চৌঠা এপ্রিল থেকে করোনা পজেটিভিটি রেট ১.৩৪ শতাংশ ছিল এই হার। আচমকা তা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ চিন্তায় দিল্লি প্রশাসন। পয়লা এপ্রিল যেখানে পজেটিভিটি রেট ছিল ০.৫৭ শতাংশ, সেখানে ১৪ই এপ্রিল বেড়ে দাঁড়ায় ২.৩৯ শতাংশে। গত এক সপ্তাহ ধরে হোম আইসোলেশনের সংখ্যাও বাড়ছে। 

৮ই এপ্রিল দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হন ১৪৬ জন। তখন পজেটিভিটি রেট ছিল ১.৩৯ শতাংশ। সেই সময় হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৩৮৮জন। দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বলছেন ১৪ই এপ্রিলের মধ্যে তা বেড়ে ৫৭৪য়ে দাঁড়িয়েছে।