সংক্ষিপ্ত
সিংঘু সীমান্তে করোনায় মৃত্যু ২ কৃষকের
দুজনেরেই মৃত্যু করোনায় বলে সন্দেহ
কৃষক আন্দোলন স্থগিত রাখার ডাক দিল ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন
কী বললেন সংগঠনের মুখপাত্র ভোপাল সিং
গত মঙ্গলবার কোভিড-১৯'এর কারণে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনকারী এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন কৃষক নেতারা। বৃহস্পতিবার, সেই কথা উল্লেখ করে, বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন আপাতত স্থগিত রাখার আবেদন করল দেশের অন্যতম বড় কৃষক সংগঠন, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (কিষাণ সরকার)। সংগঠনের মুখপাত্র ভোপাল সিং এদিন দাবি করেন কোভিডে দুই আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এদিন ভোপাল সিং বলেন, কৃষকরা প্রাণে বেঁচে থাকলে তবেই তো তাদের 'অন্নদাতা' বলা হবে। তাঁর মতে ফসল ও জীবন না বাঁচাতে পারলে আর কৃষকরা কীকরে অন্নদাতা হবেন? তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বিতর্কিত কৃষি আইনগুলি নিয়ে অবশ্যই আন্দোলন করা হবে। তবে এই মহামারিকালীন সময়, আন্দোলনের জন্য ঠিক নয় বলেই মত তাঁর। ভোপাল সিং জানান, 'এই কঠিন সময়ে আমাদের অবশ্যই দেশের সঙ্গে থাকতে হবে'।
বুধবার, সোনিপতের চিফ মেডিকেল অফিসার যশবন্ত সিং পুনিয়া জানিয়েছিলেন, সিংঘু সীমান্তের কাছে মঙ্গলবার রাতে বলবীর সিং ও মহেন্দ্র সিং নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বলবীরের মৃত্যু যে কোভিড-১৯ এর কারণেই হয়েছে, তা একেবারে নিশ্চিত। তবে, মহেন্দ্রর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। তা এলে তবেই জানা যাবে তাঁর মৃত্যুও করোনার কারণেই হয়েছে কি না। তবে ভারতে করোনা মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গ যেভাবে ধাক্কা মেরেছে, তাতে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, দিল্লি সীমান্তের কৃষক আন্দোলন একটি সুপার স্প্রেডার ঘটনা হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন - এবার ধরা পড়ল 'সাদা ছত্রাক' সংক্রমণ, কালো ছত্রাকের থেকেও মারাত্মক - জেনে নিন বিস্তারিত
আরও পড়ুন - কোভিডে ভারত জুড়ে অনাথ হাজার হাজার শিশু, পাশে দাঁড়ালেন সনিয়া - চিঠিতে কী বললেন মোদীকে
আরও পড়ুন - সাইক্লোনের সতর্কতা অবজ্ঞা করেছিলেন ক্যাপ্টেন, লাইফ ব়্যাফ্টে ছিল ফুটো - তাতেই মৃত ৩৭
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বারবার কৃষকদের আন্দোলনের অবসান ঘটাতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু, তারা যে সেই রাস্তায়য় হাঁটবেন না, তা, বৃহস্পতিবারও পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (BKU) নেতা রাকেশ টিকাইত। এদিন তিনি ফের বলেছেন, তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে টিকাইত বলেছেন, কৃষকদের স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারের অতি ভাবনা থাকলে, তারাই কৃষি আইনগুলি ফিরিয়ে নিক, যার জন্য ছয় মাস ধরে কৃষকরা আন্দোলন করছেন।