- Home
- India News
- এবার ধরা পড়ল 'সাদা ছত্রাক' সংক্রমণ, কালো ছত্রাকের থেকেও মারাত্মক - জেনে নিন বিস্তারিত
এবার ধরা পড়ল 'সাদা ছত্রাক' সংক্রমণ, কালো ছত্রাকের থেকেও মারাত্মক - জেনে নিন বিস্তারিত
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতে সাদা ছত্রাক সংক্রমণ
এখন পর্যন্ত ভারতে সাদা ছত্রাক সংক্রমণের ঘটনা দেখা গিয়েছে বিহারে। বৃহস্পতিবার পাটনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারটি সাদা ছত্রাক সংক্রমণের ঘটনা সনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এসএন সিং।
কালোর থেকেও মারাত্মক সাদা
সাদা ছত্রাকের সংক্রমণ ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে, এমন কোনও প্রমাণ এখনও নেই। কিন্তু, চিকিত্সক এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বিহারের ঘটনা থেকেই আশঙ্কা করছেন, করোনাভাইরাসের মতোই তীব্র গতিতে ভারতে ছড়িয়ে পড়তে পারে সাদা ছত্রাক সংক্রমণ। কালো ছত্রাক সংক্রমণের থেকেও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে এই সাদা ছত্রাক।
কেন সাদা ছত্রাক বেশি বিপজ্জনক?
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই নতুন সংক্রমণ ভারতে মহামারির হুমকি দিতে পারে কি না, সেই সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে, তাঁরা সতর্ক করেছেন, সাদা ছত্রাক সংক্রমণ কিন্তু, কালো ছত্রাকের তুলনায় অনেক সহজে ফুসফুস, কিডনি, অন্ত্র, খাদ্যনালি, গোপনাঙ্গের মতো দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ব্যাপক সংক্রমণ ঘটায়। কালো ছত্রাক সংক্রমণে মৃত্যুর হার খুব বেশি। কিন্তু, সাদা ছত্রাকে মৃত্যুভয় ঠিক কতটা, তা এখনও অজানা। তবে, শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে সংক্রমণ হলে তা মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে, তা বলাই বাহুল্য।
উপসর্গগুলি কী কী?
এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, সাদা ছত্রাক সংক্রামিত বিহারের চারজন রোগীর মধ্যেই কোভিড-১৯ রোগের মতো উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। যা দেখে ডাক্তাররা প্রথমে তাঁদের করোনা হয়েছে বলেই ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁদের প্রত্যেকেরই করোনা পরীক্ষার ফল নেতিবাচক আসে। চিকিত্সা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গুরুতর কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে যেমন এইচআরসিটি স্ক্যানের মতো অতিরিক্ত স্ক্যানের প্রয়োজন হয়, এই সাদা ছত্রাকের সংক্রমণ সনাক্ত করার জন্যও সেই ধরণের স্ক্যানের প্রয়োজন হতে পারে। বিহারের চার রোগীরই স্ক্যান করেই তাঁদের ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
কাদের সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি?
কালো ছত্রাক সংক্রমণের মতোই, সাদা ছত্রাকের ক্ষেত্রেও, যাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদেরই সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ডায়াবেটিস বা অন্য কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত যাঁরা বা চিকিৎসার জন্য যাঁদের স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছে এই ধরণের ব্যক্তিদের অনাক্রম্যতা কম থাকে, তাই স্বাভাবিকভাবেই সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এছাড়া যাদের চিকিৎসার জন্য খুব বেশি অক্সিজেন দিতে হচ্ছে, তাঁদেরও ঝুঁকি থাকছে। এছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের জন্য অত্যন্ত আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠতে পারে এই সংক্রমণ।
কীভাবে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে?
বিহারে এখনও পর্যন্ত যে ৪ জন রোগীর দেহে এই নয়া সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা প্রত্য়েকেই এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে, চিকিৎসকরা বলছেন, এই ছত্রাকের বীজ, পরিবেশেই ছড়িয়ে থাকতে পারে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গেই সরাসরি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই, বাইরে থেকে আনা যে কোনও পণ্য থেকে শুরু বাড়ি-ঘর স্যানিটাইজেশন এবং পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উপর জোর দিতে হবে।