সংক্ষিপ্ত

আয়ারল্যান্ড থেকে ভারতে আসা ৩৪ বছরের এক ব্যক্তির দেহে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে। তবে তাঁর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। অন্ধ্রপ্রদেশের পাশাপাশি চণ্ডীগড়েও ওমিক্রনে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। 

ধীরে ধীরে ভারতের (India) সর্বত্র থাবা বসাচ্ছে করোনার নতুন প্রজাতি (New Corona Variant) ওমিক্রন (Omicron)। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের (Coronavirus) এই নতুন প্রজাতির জেরে লকডাউন (Lockdown) জারি হয়েছে মুম্বইয়ে (Mumbai)। আর এবার অন্ধ্রপ্রদেশেও (Andhra Pradesh) প্রথমবার ধরা পড়ল ওমিক্রন সংক্রমণ। জানা গিয়েছে, আয়ারল্যান্ড (Ireland) থেকে ভারতে আসা ৩৪ বছরের এক ব্যক্তির দেহে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে। তবে তাঁর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। অন্ধ্রপ্রদেশের পাশাপাশি চণ্ডীগড়েও (Chandigarh) ওমিক্রনে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। 

অন্ধ্রের স্বাস্থ্য দফতরের (Andhra Pradesh Health Department) তরফে জানানো হয়েছে, আয়ারল্যান্ড থেকে মুম্বই হয়ে বিশাখাপত্তনমে ফিরেছিলেন ওই ব্যক্তি। মুম্বইতে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। তখন রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপর তাঁকে ২৭ নভেম্বর বিশাখাপত্তনম যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর বিজয়নগড়রে দ্বিতীয়বার তাঁর আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হয়। তখন তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁর নমুনা হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজিতে পাঠানো হয় জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য। জানতে পারা যায় যে তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত। অবশ্য তাঁর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। এরপর ১১ ডিসেম্বর ফের তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। তখন রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে ওই রাজ্যে আর কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত নয় বলে জানা গিয়েছে।

 

 

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, ওমিক্রন সংক্রামক হলেও অত্যাধিক ক্ষতিকারক নয়। কারণ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অন্ধ্র সরকারের তরফে রাজ্যের মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  

আরও পড়ুন- ওমিক্রন সন্দেহে বাংলাদেশ থেকে ফিরে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি বৃদ্ধ

অন্ধ্রপ্রদেশের পাশাপাশি চণ্ডীগড়েও এক ২০ বছরের যুবকের দেহে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে। জানা গিয়েছে, ২২ নভেম্বর ইতালি থেকে ভারতে ফিরেছিলেন তিনি। ১ ডিসেম্বর তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অবশ্য তিনি ফাইজারের টিকার দুটি ডোজ নিয়েছিলেন। তারপরও তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হন। 

ধীরে ধীরে দেশের সব জায়গাতেই থাবা বসাচ্ছে ওমিক্রন। ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে সেই তালিকা। গতকাল পর্যন্ত ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৩। এই সংখ্যাটা যে আগামী দিনে আরও বাড়বে সেকথা আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের মধ্যে প্রথমে কর্নাটকে এই প্রজাতির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ ও হরিয়ানাতে ওমিক্রনে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একটি নতুন প্রজাতি সামনে আসা মানে এই নয় যে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তবে ওমিক্রনের জন্য পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এখনও মহামারী শেষ হয়নি। বিশ্বে এই মুহূর্তে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ওমিক্রনের জেরে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে।