সংক্ষিপ্ত
- অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগ সুপ্রিম কোর্টের
- মঙ্গলবার সকালেই থেকে রাস্তায় নেই কোনো অভিবাসী
- খাবার ও আশ্রায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, জানাল কেন্দ্র
- অভিবাসীদের মনের জোর বাড়াতে বলল সুপ্রিম কোর্ট
অভিবাসীদের মনেকর জোর বাড়াতে ভজন কীর্তন নামাজের ব্যবস্থা করা যেতেই পারে, কেন্দ্রকে জানাল সুপ্রিম কোর্ট
অভাবাসী শ্রমিকদের যাত্রায় অবিলম্বে ইতি টানতে হবে। শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের খাবার ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে দিতে হবে তাঁদের চিকিৎসাও। লকডাউনে দিশেহারা অভিবাসী শ্রমিকদের খাবার ও আশ্রয়ের দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী এএ শ্রীবাস্তব। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতিরা।
প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে শুনানির সময় কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, কেন্দ্র কী তাঁদের নিশ্চিত করতে পারবে যেসব অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়া বন্ধ করা হয়েছে, তাঁদের খাবার, নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনী যত্ন নেওয়া হবে। পাশাপাশি তাঁদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হবে। তারই উত্তরে কেন্দ্রের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ১১টার পর আর রাস্তায় কোনও অভিবাসী শ্রমিকদের ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়নি। কারণ নিকটবর্তী স্থানে তাঁদের নিরাপদ আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২৩ লক্ষ অভিবাসী শ্রমিক ও দিনমজুরের থাকার ও খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনও যাঁরা সব কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরতে মরিয়া তাঁদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি শীর্য আদালতকে আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুনঃ করোনা থেকে বাঁচতে অ্যান্টি-ম্যালেয়ার ওষুধ, তাতেই কি মৃত্যু অসমের চিকিৎসকের
আরও পড়ুুনঃ করোনাভাইরাসের মৃত্যুপুরী ইতালি, আরও বাড়াল লকডাউন, আলাদা করা হতে পারে পরিবারকেও
তবে সুপ্রিম কোর্ট অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ভাইরাসের থেকে বেশি মানুষের প্রাণ নিতে পারে। তাই জনগণের মনের জোর বাড়াতে ভজন, কীর্তন, নামাজ যাহোক কিছু করতে হবে। সকল ধর্মীয় নেতা ও ধর্মগুরুদের অভিবাসী শ্রমিকদের পরামর্শ দেওয়ার কাজে নিযুক্ত করতে হবে। নিযুক্ত করতে হবে কাউন্সিলরও যারা ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে অভিবাসীদের আশ্রয় স্থানগুলি পরিদর্শন করবেন ও তাঁদের বোঝাবেন।
বিবৃতি জারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ধর্মীয় নেতা ও কাউন্সিলরদের একত্রিত করে অভিবাসীদের শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা করে হবে বলেও সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই ২১ দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই কথা ঘোষণার পরই কাজ হারিয়ে আশ্রয় হারিয়ে খোলা আশাকের নিচে এসে দাঁড়িয়েছেন অনেক অভিবাসী শ্রমিক।এই পরিস্থিতিতে তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া। কিন্তু সড়ক ও রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঁয়ে হেঁটেই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে নিজের বাড়িতে ফিরতে উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। কেউ সফল হলেও অনেকি বিপল হয়েছে। আর শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে পড়ায় শিকেয় উঠেছে সামাজিক দূরত্ব।এই অবস্থায় দিন মজুর ও অভিবাসী শ্রমিকদের খাবার ও আশ্রয় সুনিশ্চত করতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে কেন্দ্র থেকে পাওয়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানবিচারপতি বোবদে ও বিচারপতি নাগেশ্বর রাও।