সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে ভারতে ২১ দিনের লকডাউন চলছে

তারপরেও এই ভাইরাস-কে রোখা যাচ্ছে না

এবার একটি বৃহত্তর করোনা অভিযান শুরু করতে চলেছে আইসিএমআর

পরিকল্পনা সফল হলে খুব তাড়াতাড়ি ভারত থেকে বিদায় নেবে করোনাভাইরাস

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে ২১ দিনের লকডাউন-এর ডাক দিয়েছেন। তবে তারপরেও এই ভাইরাস-কে রোখা যাচ্ছে না। শুক্রবারই ভারতে একদিনে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্য়া। দেশজুড়ে কোভিড-১৯'এর রোগী ক্রমাগত বেড়ে চলায়, এবার একটি বৃহত্তর করোনা অভিযান অনুমোদন করেছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল। তাদের এই পরিকল্পনা সফল হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। আর তাই মনে করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়িই ভারত থেকে বিদায় নেবে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক।

আইসিএমার জানিয়েছে, করোনাভাইরাস রোগীর দ্রুত সনাক্তকরণ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ভারতে। আর এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ভারতে যে দশটি কোভিড-১৯ হটস্পট অর্থাৎ যেসকল অঞ্চলে প্রচুর সংখ্যক করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা রয়েছে, সেইসব এলাকায় আক্রান্তদের দ্রুত খুঁজে বার করার জন্য রক্তের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করানো যেতে পারে। সেই সঙ্গে বায়োটেকনোলজি বিভাগ (ডিবিটি), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ (ডিএসটি), বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল (সিএসআইআর) এবং পরমাণু গবেষণা বিভাগ (ডিএই)-এর গবেষণাগারগুলিতেও এখন থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে।

এতদিন শুধুমাত্র আইসিএমআর-এর গবেষণাগারগুলিতে পলিমেরাস চেইন রিঅ্যাকশন বা পিসিআর পদ্ধতিতে গলা বা নাক-এর লালারসের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হত। এই পরীক্ষাপদ্ধতিটি সময় সাপেক্ষ। তবে হটস্পট এলাকাগুলিতে এবার থেকে রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন-পিসিআর পদ্ধতিতে গলা বা নাকের লালারসের নমুনা ব্যবহার করে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা যেতে পারে। অ্যান্টিবডি পজিটিভদের হাসপাতালে আর অ্যান্টিবডি নেগেটিভ বাড়িতে রেখে বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে করোনা টাস্ক ফোর্স-এর বৈঠকে। আর অন্যান্য রক্ত পরীক্ষার মতোই অ্য়ান্টিবডি ধরতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট।

নামমাত্র দামে পোর্টেবল ভেন্টিলেটর, করোনা-যুদ্ধে একের পর এক অস্ত্রে জাত চেনাচ্ছে আইআইটি

৯ মিনিটের ব্ল্যাকআউটে ফ্যান-এসি-ফ্রিজ সব চালিয়ে রাখুন, মোদীর ডাকে ঘনাচ্ছে বড় বিপদ

গাজিয়াবাদের পর কানপুর, তাবলিগিদের 'করোনা-জেহাদি' আচরণে সন্ত্রস্ত চিকিৎসাকর্মীরা

আইসিএমআরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন আইসিএমআর-এর বাইরে অন্যান্য বিভাগের গবেষণাগারগুলিতে করোনার পরীক্ষা শুরু করার আগে তাদের কাউন্সিলের জারি করা নির্দেশাবলী কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ভাইরাসটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর নমুনাগুলি বিভিন্ন স্তরের মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য পৌঁছায়। কোনওভাবেই প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনও কর্মচারীকে নিযুক্ত করা যাবে না। সামান্য এদিক-ওদিক হলেই ভাইরাসটি গবেষণাগারের সবাইকে সংক্রামিত করতে পারে এবং প্রত্যেকের সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

সেইসঙ্গে আরও বলা হয়েছে, এই গবেষণাগারগুলিকে কোনও টেস্ট কিট বা রাসায়নিক সরবরাহ করা হবে না। শুধুমাত্র সরকারের পক্ষ থেকে যে নমুনাগুলি তাদের কাছে পাঠানো হবে, তারা সেগুলিরই পরীক্ষা করবে। গবেষণাগারগুলি নামি প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন হওয়ায় তাদের নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা এই নিয়ে কোনও তদন্তের পরথে যাবে না আইসিএমআর। তবে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির সচিবদের। তাদেরকেই গবেষণাগারগুলি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে হবে।