সংক্ষিপ্ত
- রঙ বদল করছে যমুনা
- দিল্লি সংলগ্ন যমুনায় কমছে দূষণ
- আগামী দিনে জলের মান পরীক্ষা করা হবে
- আশা প্রকাশ করেছেন রাঘব চাড্ডা
লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের কলখারনা। এই অবস্থায় যার প্রভাবে কিছুটা হলেও কমে গেছে দূষণ। বর্জ্য নিক্ষেপন না হওয়ায় রঙ বদলাচ্ছে গঙ্গা। প্রায় একই রকম হাল যমুনারও। যমুনার দূষণ নিয়ে কং কথা হয় না। দিল্লি ও আগ্রার কাছে যমুনার দূষণ মাত্রা ছা়ড়া। অনেক জায়গায় আবার খোঁজই মেলে না গতি পথের। কিন্তু ধীরে ধীরে নিজের রূপ ফিরে পাচ্ছে যমুনা। কালো আর দুর্গন্ধ যুক্ত জল ধীরে ধীরে নীল হচ্ছে। যা দেখে উচ্ছ্বিস দিল্লির বাসিন্দাা।
নীল যমুনার ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। যার বেশ কয়েকটি ছবি কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের ট্যুইটার ও ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে ছড়িয়েছে। দিল্লির বাসিন্দারা অনেকেই বলছেন যমুনার এই তট একদমই অচেনা। কয়েক দিন আগেই এই যমুনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল দিল্লিবাসী, কালো, অপরিষ্কার আর দুর্গন্ধযুক্ত জনের জন্য। কিন্তু সেই বদলে যাওয়া যমুনার নীল জনই এখন মন কেড়েছে স্থানীয়দের।
স্থানীয় প্রশাসনের কথায় বর্তমানে কিছুটা হলেও দুষণমুক্ত যমুনা। আম আদমি পার্টির বিধায়ক ও দিল্লি জল বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রাঘব চাড্ডা বলেছেন লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে যমুনার ধারে গড়ে ওঠা কলকারখানাগুলি। যার কারণে দুষণ কমছে যমুনার জনের। দিল্লি সরকার যমুনার জল নিয়ে আগামী দিনে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে কী করে যমুনার জলের গুণগত মান উন্নয়ন করা যায়।
আরও পড়ুনঃ অসাধ্য সাধন করল করোনাভাইরাস আর লকডাউন, মাত্র ১০ দিনে বদলে গেছে গঙ্গার চেহারা
আরও পড়ুনঃ করোনার প্রভাবে এতটাই পরিবর্তন পাকিস্তানের, ভারতীয় বিমানের চালকদের প্রশংসা
অরও পড়ুনঃ রাত ৯টা ৯মিনিটের কথা স্মরণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মরণ করালেন প্রধানমন্ত্রী
রাঘব চাড্ডা আরও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে যমুনার দুষণ নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছ। লকডাউনের এই সময়টাই পথ দেখাচ্ছে কী করে যমুনার জলের স্বচ্ছ্বতা ফিরেয়ে আনা যাবে।
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। রবিবার ১২ দিনে পড়েছে লকডাউন। এই বারো দিন প্রায় বন্ধ রয়েছে দেশের অধিকাংশ কারখানা। বন্ধ রয়েছে যান চলাচলও। কিছুটা হলেও কমেছে দূষণ। তাই প্রকৃতির রূপ খুলছে বলেই মনে করছেন পরিবেশবীদরা।