সংক্ষিপ্ত

মঙ্গলবারের তুলনায় সামান্য হলেও বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫৭৫ জন। 

বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ভারতে একটু হলেও বেড়েছে করোনা সংক্রমণ (daily Covid-19 cases)। যা উদ্বেগের না হলেও সচেতন হওয়ার বার্তা দেয়। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে ভারতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মঙ্গলবারের তুলনায় সামান্য হলেও বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫৭৫ জন (above four thousand new infections)। 

গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে মোট ১৪৫ জনের। ওর ফলো করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫,১৫,৩৫৫। গোটা দেশ জুড়ে মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬,৯৬২। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৯৩। যা ৬৬২ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এদিকে, বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে দেশের জনজীবন। খুলতে শুরু করেছে স্কুল আর কলেজ। রেস্তোরাঁ থেকে মল সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে স্বাভাবিক ছন্দ। এই অবস্থাতে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ভাইরোলজিস্ট টি জ্যাকব। 

তিনি বলেছেন ভারতে তৃতীয় তরঙ্গ শেষ হচেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোভিডএর অন্য কোনও রূপ দেখা যায়নি। তাতেই আশা করা যায় এই দেশে করোনাভাইরাসের চতুর্থ তরঙ্গ আছড়ে পড়বে না।  জ্যাকব আরও বলেন দেশটি মহামারির শেষ পর্বে পৌঁছে গেছে। আর এই দেশে চতুর্থ তরঙ্গের কোনো হুমকি নেই। 

জ্যাকব আরও বলেছেন, তিনি মনে করেন, এই দেশে করোনাভাইরাস স্থানীয় একটি রোগে পরিণত হয়েছে। আক্রান্ত ও দৈনিক গড় বিশ্লেষণ করে এই দাবি করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় এই সংখ্যা আগামী চার সপ্তাহ ধরে সামান্য ওঠানামা করবে। তবে তাতে ভয়ের কিছু নেই। আগামী চার সপ্তাহ এটি এই দেশে মহামারির পর্যায়ে থাকবে। ভারতের সমস্ত রাজ্যেই একই প্রবণতা দেখা দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

তবে জ্যাকব সতর্ক করে বলেছেন,  যদি অপ্রত্যাশিত আলফা, বিটা, গামা বা ওমিক্রনের পর নতুন কোনও রূপ দেখা  না দেয় তাহলেই ভারত মহামারির হাত থেকে নিস্তার পাবে। এখনও পর্যন্ত এই দেশে তেমন ভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি কোভিডের নতুন কোনও প্রজন্মকে। তাই তিনি এই আশার আলো দেখছেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, কোভিড কখনই পুরোপুরি মিলিয়ে যাবে না। এটি ছোটখাটো রোগে পরিণত হবে। মাঝে মাঝেই প্রাদুর্ভাব ঘটবে। তবে তিনি এখনও রোগের ওপর নজরদারি ও জিন সিকোয়েন্সিংয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন কোনও মিউটেশন সনাক্ত করার জন্য এটি জরুরি।