সংক্ষিপ্ত

মহারাষ্ট্র (Maharashtra) রাজ্য প্রথম ওমিক্রন (Omicron) ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করল। ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো চার। 
 

শনিবার, করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের (Omicron) প্রথম কেসের কথা রিপোর্ট করল মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। করোনাভাইরাস মহামারির (Coronavirus Pandemic) শুরু থেকে ভারতের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতির শিকার হওয়া এই রাজ্যেও অবশেষে পৌঁছে গেল ওমিক্রন। এর সঙ্গে সঙ্গে, ভারতের মোট ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছল চারে। এদিন সকালেই প্রথম ওমিক্রন সংক্রমণের খবর জানিয়েছিল গুজরাট (Gujarat)। একই দিনে ভারতের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২ থেকে বেড়ে ৪ হয়ে গেল। 

সংবাদ সংস্থা পিটিআই, মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টরকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মুম্বইয়ের (Mumbai) কাছে কল্যাণ ডম্বিভালি (Kalyan Dombivali) পৌরসভা এলাকায় এক ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন রুপান্তরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি তিনি বিদেশ থেকে মুম্বইয়ে ফিরেছিলেন। করোনা পরীক্ষায় তিনি ইতিবাচক বলে সনাক্ত হয়েছিলেন। তারপর তাঁর লালারসের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর (Genome Sequencing) জন্য পাঠানো হয়েছিল পুনের (Pune) সরকারি ল্যাবে। সেখান থেকে এদিন জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তির দেহে যে করোনাভাইরাস রয়েছে, তা ওমিক্রন। এখন ওই আক্রান্ত ব্য়ক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিবর্গের সন্ধান চলছে।  

মহারাষ্ট্রের সরকারী সূত্রকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দিল্লি হয়ে মুম্বই আসেন। তারপর সেখান থেকে কল্যাণ ডম্বিভালি পৌর এলাকায় ফিরে এসেছিলেন। ওই ব্য়ক্তির বয়স ৩৩ বছর। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের এই প্রথম ওমিক্রন রোগী ভ্যাকসিনের কোনও ডোজই পাননি। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন এবং সংক্রামিত হওয়ার উচ্চ-ঝুঁকিতে আছেন এমন ১২ জনকে এখনও পর্যন্ত সনাক্ত করা গিয়েছে। আরও ২৩ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে, যারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন কিন্তু তাঁদের সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি কম। সকলেরই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ফলাফল নেতিবাচক এসেছে।

এর আগে, এদিন সকালে গুজরাট (Gujarat) স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ভারতের তৃতীয় ওমিক্রন আক্রান্তের কথা রিপোর্ট করেছিল। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বয়স ৭২ বছরের সেই ব্যক্তি, গত কয়েক দশক ধরে জিম্বাবোয়েতে (Zimbabwe) থাকেন। গত, ২৮ নভেম্বর গুজরাটের জামনগর শহরে, তাঁর পৈত্রিক বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। আপাতত ওই বাড়িতেই তিনি স্ববিচ্ছিন্নতায় রয়েছেন, সামান্য উপসর্গ রয়েছে। তাঁরও যোগাযোগের অনুসন্ধান করে, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এটিই গুজরাটের প্রথম করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের ঘটনা।