সংক্ষিপ্ত

রবিবার ফের একবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

লকডাউনের সময়সীমা প্রায় ফুরিয়ে এসেছে

বাড়ানো হবে কি হবে না, এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন

মুখ্.মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেই হতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

লকডাউনের সময়সীমা প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। কিন্তু ভারতে করোনাভাইরাসের বাড়-বাড়ন্ত অব্যাহত। এই অবস্থায় লকডাউন বাড়ানো হবে কি হবে না, এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আর এর উত্তর দিতেই ফের একবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে টিভির পর্দায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর রবিবার, সন্ধ্যায় ফের একবার টিভিতে দেখা দিয়ে ভারতবাসীকে এই নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানাতে চলেছেন তিনি।

তার আগে, শনিবার ভিডিও কনফারেন্সে নরেন্দ্র মোদী ভারতের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে, লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ-সহবেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই মারণ ভাইরাস-কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য লকডাউনের সীমা বাডড়ানোর পক্ষেই মত দিয়েছেন। এর আগে সরকারি সূত্রে বলা হয়েছিল, লকডাউনের সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তটা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির হাতেই ছাড়তে চায়। কিন্তু, গত কয়েকদিনে অবস্থা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। তাতে মনে করা হচ্ছে সারা ভারতব্যপীই লকডাউনের সময় বাড়ানো হবে।

তবে সূত্রের দাবি, লকডাউন-এর সময়সীমা বাডানো হলেও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করা হতে পারে। ২১ দিনের লকডাউনেই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের রাজস্বের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। লকডাউন আরও দীর্ঘয়িত হলে অর্থনৈতিক চাপ মাত্রাছাড়া জায়গায় পৌঁছতে পারে। তাই, ভারসাম্য রেখেই এগোতে হবে। তবে ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি বাদে আন্তঃরাষ্ট্রীয় চলাচল সীমাবদ্ধই থাকবে।

কেন্দ্র শেষ পর্যন্ত যাই সিদ্ধান্ত নিক, বৃহস্পতিবার প্রথম রাজ্য হিসাবে ওড়িশা রাজ্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তেলেঙ্গানার মুক্যমন্ত্রী কেসিআর, মোদীকে চিঠি লিকে সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। আর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে টুইট করে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁর রাজ্যেও লকডাউনের সীমা বাড়বে।