সংক্ষিপ্ত

  • দেশে করোনা সংক্রমণ চার হাজার ছাড়িয়েছে
  • মহারাষ্ট্রে সহচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা
  • বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে সংক্রমণ পেরিয়েছে ৪০০ গণ্ডি
  • এরমধ্যেই করোনা সাজানো ঘটনা বলে দাবি এক যুবকের

দিন যত এগোচ্ছে ততই গোটা দেশে বাড়ছে কোরানভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা। রবিবারই ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারা ছাড়িয়েছে। গোষ্ঠী সংক্রমণ যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য দেশজুড়ে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। আর এর মাঝেই বেফাঁস মন্তব্য করে গ্রেফতার হতে হল এক যুবককে।

দেশের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলতে চলেছে সাতশোর গণ্ডি। গত চব্বিশ ঘণ্টায় বাণিজ্য রাজধানী মুম্বইতে কোভিড ১৯ রোগের শিকার হয়েছেন ২৯ জন। যার ফলে মুম্বইতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০৬। এর মধ্যেই মুম্বইয়ের চুনাভাট্টি এলাকায় ফেসবুকে নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে আপত্তিজনক পোস্ট করে বসল ৩৬ বছরের এক যুবক।

দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের ঘটনাকে চক্রান্ত বলে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ওই যুবক। এবার থেকে জনগন যাতে প্রশাসনের কাছে কোনও তথ্য প্রকাশ না করে এমন কথাও নিজের পোস্টে লেখে সে। তবে এই ধরণের আপত্তিজনক পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে ফেলে পুলিশ। জানা যায় অভিযুক্তের নাম শামিন ইফতেকার খান। বাড়ি কুড়লা ইস্টের কুরেশি নগরে।

করোনা মোকাবিলায় চাই প্রচুর টাকা, তাই নাকি বিক্রি হচ্ছে মোদীর সাধের 'স্ট্যাচু অফ ইউনিটি'

রক্ষে পেল না বাঘমামাও, চিড়িয়াখানায় এবার করোনা সংক্রমণের শিকার ৪ বছরের নাদিয়া

নিয়ন্ত্রণে আসছে না সংক্রমণ, ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ছেড়ে এবার হাসপাতালে বরিস জনসন

নিজের পোস্টে কুরেশি লেখে, " করোনাভাইরাসের কোনও অস্তিত্ব নেই, সরকার কিছু সম্প্রদায়কে আক্রমণ করতেই এই ভাইরাসের ষড়য়ন্ত্র করেছে।" পাশাপাশি করোনাভাইরাস নিয়ে সীমক্ষা চালানোর সময় জনগন যাতে সরকারকে কোনও তথ্য না দেয় সেই কথাও নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখে ওই যুবক। 

ওই যুবকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা (সরকারি আধিকারিকের নির্দেশ অমান্য) এবং ৫০৫ ধারায় (জনগনের মধ্যে ভ্রান্তি ছড়ানো) চুনাভাট্টি পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনেও পৃথক একটি মামলা করা হয়েছে। 

গত সপ্তাহে দিল্লির নিজামুদ্দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া ২ হাজার মানুষের একসঙ্গে থাকার বিষয়টি সামনে আসে। তারপর থেকেই ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া একের পর এক ব্যক্তির শরীরে মারণ ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলতে থাকে। সারা দেশ থেকে নিজামুদ্দিন মারকজের ধর্মীয় অনুষ্ঠানটিতে প্রচুর মানুষ যোগ দেওয়ায় সব রাজ্যেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে নিজামুদ্দিন মারকজে অংশ নেওয়াদের বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন চিহ্নিত করে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠাচ্ছে।