সংক্ষিপ্ত
- নিজের করোনা সংক্রমণের কথা আগেই জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
- ট্যুইটারে ভিডিও বার্তা দিয়ে সংক্রমণের কথা জানান বরিস জনসন
- আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিন পরেও হয়নি আবস্থার উন্নতি
- আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
রাজ পরিবার থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী, ব্রিটেনে করোনাভাইরাস ছেড়ে কথা বলেনি কাউকেই। দেশটিতে ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৫০ হাজারের কাছাকাছি। গত রবিবারই করোনা সংক্রমণে ব্রিটেনে প্রাণ গিয়েছে ৬২১ জনের। ফলে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৪,৯৪৩। এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়ে এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ভর্তি করতে হল হাসপাতালে।
কয়েকজিন ভাগে কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা নিজেই জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তারপর থেকে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু ১০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও জ্বর সহ অন্যান্য উপসর্গ অব্যাহত থাকায় এবার হাসপাতালেই পাঠাতে হল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে।
রক্ষে পেল না বাঘমামাও, চিড়িয়াখানায় এবার করোনা সংক্রমণের শিকার ৪ বছরের নাদিয়া
করোনা সংক্রমণের মধ্যেই নতুন বিপদ জাপানের সামনে, আগ্নেয়গিরির ভস্মের নিচে ঢাকতে চলেছে টোকিও
স্বামীকে বিরক্ত না করে মেকআপ করুন, লকডাউনে সময় কাটাতে পরামর্শ দিল দেশের সরকার
চিকিৎসকদের পরামর্শে সতর্কতার অংশ হিসাবেই বরিস জনসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছে।
ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'চিকিৎসকের পরামর্শে বরিস জনসনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। যেহেতু তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পরও উপসর্গগুলো রয়ে গেছে, তাই সতর্কতার অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।' তবে হাসপাতালে ভর্তি হলেও সেখান থেকেই বরিস জনসন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব চালাবেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও সোমবার সকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায় আয়োজিত করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে বরিস জনসন হাসপাতালে ভর্তি হতেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিবৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘গোটা আমেরিকা বরিস জনসনের জন্য প্রার্থনা করছে। তিনি (বরিস জনসন) আমার ভালো বন্ধু, সজ্জন মানুষ ও বড় নেতা।’ ট্রাম্প আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দ্রুতই সেরে উঠবেন। কারণ, তিনি শক্তিশালী মানুষ।