সংক্ষিপ্ত
ওমিক্রনে আক্রান্তদের জন্য ইতিমধ্যেই ওই হোটেলকে একটি মাইক্রো-কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বাঙালি পর্যটক ছাড়াও বাকি যে দুজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তারা হোটেলের কর্মী।
পরপর তিন জন (three people) ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেন ওডিশার (Odisha) পুরীর (Puri) একটি হোটেলে (hotel)। উল্লেখযোগ্যভাবে এই তিন জনের মধ্যে একজন বাঙালি পর্যটক (Bengal tourist) রয়েছেন। ওমিক্রনে আক্রান্তদের জন্য ইতিমধ্যেই ওই হোটেলকে একটি মাইক্রো-কনটেনমেন্ট জোন (micro containment zone) ঘোষণা করা হয়েছে। বাঙালি পর্যটক ছাড়াও বাকি যে দুজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তারা হোটেলের কর্মী। পুরীর জেলা কালেক্টর সমর্থ ভার্মা বলেছেন, তিনটি ওমিক্রন আক্রান্তের ঘটনার খবর মিলেছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত হোটেলটিকে একটি মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কাউকে হোটেলে ঢুকতে দেওয়া হবে না এবং ভেতর থেকে কাউকে বের হতে দেওয়া হবে না। হোটেলের সমস্ত কর্মচারীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা কালেক্টর। আরও জানানো হয়েছে হোটেলের চত্বরে সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ভিতরে থাকা প্রত্যেককে প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করছে। তবে এই ঘটনার পরে জগন্নাথ মন্দিরে দর্শনের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
দেশে যে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) আছড়ে পড়তে চলেছে তা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, তারপরও উদাসীন ছিলেন সাধারণ মানুষ। আর মধ্যেই বড়দিন ও বর্ষশেষের রাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে দেদার অনুষ্ঠান। বিভিন্ন প্রান্তেই বহু মানুষকে একসঙ্গে জমায়েত করতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকেই গোটা দেশে হু হু করে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিনিই বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তার সঙ্গে আবার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। ওমিক্রনের সূত্র ধরে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তার ভয়াবহতা কমাতে ইতিমধ্যেই দেওয়া শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ। কিন্তু, সেই ডোজ ওমিক্রনকে কতটা আটকাতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আর এই পরিস্থিতির মধ্যে সবথেকে বেশি সমস্যা তৈরি করেছে ওমিক্রনকে শনাক্ত করা। কোনও ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলেই যে তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন এমনটা একেবারেই নয়। তাই ওমিক্রনকে শনাক্ত করার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে জিনমো সিকোয়েন্সিং। কিন্তু, সেই পরীক্ষাও সব জায়গায় সহজলভ্য নয়। কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গায় সেই পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠাতে হয়। আর তার ফলেই সমস্যা বাড়ছে। অনেকের পরীক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রোগীর শরীরে ওমিক্রমন বাসা বেঁধেছে কিনা তা জানাই এখন চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসকদের কাছে। কারণ অন্য রূপগুলির তুলনায় ওমিক্রন অনেক দ্রুত ছড়ায়। তাই আলাদা করে সেটিকে চিহ্নিত করতে পারলে আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।