সংক্ষিপ্ত
বেঙ্গালুরুতে দুই দক্ষিণ আফ্রিকানকে নিয়ে ছড়ালো তীব্র 'ওমিক্রন' (Omicron Variant) আতঙ্ক। ব্রিটেনে নিশ্চিতভাবে পা রাখল করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট (New Corona Variant)।
কোভিড-১৯ মহামারির তৃতীয় তরঙ্গের (COVID-19 Third Wave) আতঙ্কের মধ্য়েই নতুন মাথাব্যথা সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2) ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট। শনিবার, এই বি.১.১৫২৯ (B.1.1.529) ভেরিয়েন্ট ভারতে পৌঁছে গেল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) থেকে আগত সেই দেশের দুই নাগরিক বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Kempegowda International Airport) আসার পর করোনাভাইরাসের ইতিবাচক হিসাবে সনাক্ত হয়েছেন।
তাঁরা করোনাভাইরাসের নতুন ওমিক্রন রূপে (Omicron Variant) আক্রান্ত কিনা, এখন সেই পরীক্ষাই করা হচ্ছে। তবে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মধ্যে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কর্নাটক (Karnataka) স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, পরীক্ষার ফলাফল আসতে আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগবে। তারপরই জানা যাবে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট সত্যি সত্যি ভারতে এসে পৌঁছালো কিনা। ইতিমধ্যেই, ওই দুই ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরীক্ষার ফলাফলে না আসা পর্যন্ত তাদের সেখানেই রাখা হবে।
ভারতে ওমিক্রনের উপস্থিতি এখনও নিশ্চিত না করা গেলেও, ব্রিটেনে শনিবারই করোনাভাইরাস ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের দুটি কেস সনাক্ত করা হয়েছে। শনিবার ব্রিটেন জানিয়েছে, কোভিড-১৯'এর নতুন ওমিক্রন স্ট্রেনের প্রথম দুটি কেস নিশ্চিত করা গিয়েছে। দুই ব্যক্তিই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছিলেন বলে জানিয়েছে, সংবাদ সংস্থা এএফপি। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভেদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ওমিক্রমন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত দুজনকেই দ্রুত আলাদা করা হয়েছে। তাঁরা দুজনেই স্ব-বিচ্ছিন্নতায় আছেন। তাঁদের সঙ্গে যাদের যাদের যোগাযোগ হয়েছিল, তাদের অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। ়
শুক্রবারই, করোনার এই নতুন রূপের কথা স্বীকার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা (World Health Organisation)। এটিকে তারা উদ্বেগজনক ভেরিয়েন্টের (Variant of Concern) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ওমিক্রন ভেরিয়েন্টটি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল বতসোয়ানায় (Botswana)। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) এবং হংকং-এও (Hong Kong) দেখা মিলেছে। এই নব রূপের করোনাভাইরাস তার আগের রূপগুলির তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক এবং এর বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের বর্তমান ভ্যাকসিনগুলি (Coronavirus Vaccine) কার্যকর হবে না বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফাইজার (Pfizer) এবং বায়োএনটেক (BioNTech) সংস্থা এদিন জানিয়েছে, তারা আগামী ১০০ দিনের মধ্যে এই নতুন ভেরিয়েন্চের জন্য নতুন টিকা বানাতে চলেছে।
করোনার এই নতুন রূপভেদটির স্পাইক প্রোটিন অংশে উল্লেখযোগ্য মিউটেশ বা অভিযোজন ঘটেছে। প্রচলিক ভ্যাকসিগুলির সবকটিই স্পাইক প্রোটিনকেই নষ্ট করে। যার ফলে মানব দেহের কোষে ভাইরাসের স্পাইক আটকাতে পারে না। কিন্তু, সেই স্পাইক প্রোটিনের চরিত্র বদলে গেলে, ভ্যাকসিনের অকার্যকর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।