সংক্ষিপ্ত
- করোনা পজেটিভ হওয়ার হার ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে
- লকডাউনে যাচ্ছে একের পর এক রাজ্যে
- আজ লকডাউনের কথা ঘোষণা করে কেরল সরকার
- দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে
দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট লকডাউনে যাওয়ার কথা বলছে। রাহুল গান্ধী সহ বিরোধী দলের নেতারাও দেশজুড়ে লকডাউনের পক্ষে মুখ খুলেছেন। ভারতকে লকডাউনে যাওয়ার পরামর্শ এসেছে মার্কিন প্রশাসনের এক স্বাস্থ্য কর্তার থেকেও। কিন্তু এরপরেও এখনও লকডাউনের কথা বলেনি কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে এখনও সব দিক ভেবে দেখছে কেন্দ্র। দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলি অবশ্য ইতিমধ্যেই লকডাউনে গিয়েছে। আজ কেরলেও লকডাউনের কথা ঘোষণা হয়েছে। দিল্লি থেকে মহারাষ্ট্র। মধপ্রদেশ থেকে কর্ণাটক। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এখন লকডাউন চলছে। তাহলে কেন্দ্র কবে লকডাউন ঘোষণা করবে?
আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই কেরলে কঠোর লকডাউন, শুরু শনিবার থেকে
আরও পড়ুন: হাসপাতালের বেড থেকে ওষুধ- টিকাকরণ, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আগে বলেছিলেন, লকডাউন হবে করোনা লড়াইয়ের শেষ অস্ত্র। এখন শোনা যাচ্ছে এবার হয়তো শেষ অস্ত্রই প্রয়োগ করবে মোদী সরকার। নীতি আয়োগের তথা জাতীয় টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পালের এক মন্তব্যে, দেশজুড়ে লকডাউনের সম্ভাবনা জোরালো বলেই মনে হল। তিনি বলেছেন, লকডাউনের বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।" তার মানে ক দিন আগেও লকডাউনে গররাজি কেন্দ্র, এখন সরকারিভাবে লকডাউনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে না। এমনিতে রাজ্যগুলির কাছে নির্দেশ গিয়েছে জেলাভিত্তিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে।
নীতি আয়োগের সদস্য জানিয়েছেন, 'করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে সরকারি পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে কোথাও কড়া বিধিনিষেধ, কোথাও নাইট কার্উু জারি করা হয়েছে। করোনা পজেটিভ হওয়ার হার ১০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় ও দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ বেড ৬০ শতাংশ ভরে যাওয়ায় লকডাউনে যেতে হয়তো বাধ্যই হবে কেন্দ্র।