সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে দৈনিক পজেটিভির হার ৭.৭৪ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজেটিভিটির হার ৪.৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
একধাক্কায় করোনা আক্রান্তের (Corona) সংখ্যা ছাড়াল লক্ষের ঘর (Over 1 lakh)। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (Health Ministry) ঘোষণা করেছে যে দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,১৭,১০০জন (India's COVID-19 Tally)। দেশে মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৭১,৬৩৩। মোট আক্রান্তের তুলনায় অ্যাক্টিভ কেসের পরিমাণ একশতাংশেরও কম। দেশে মোট অ্যাক্টিভ কেসের হার ১.০৫ শতাংশ।
সকাল আটটায় যে বুলেটিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশ করেছে, তা অনুযায়ী জানা গিয়েছে দেশে কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮,৩১৭৮। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩০,৮৩৬ জন। মোট সুস্থ হওয়া রোগির সংখ্যা ৩,৪৩,৭১,৮৪৫ এ নিয়ে গেছে। দেশের মোট সুস্থতার হার ৯৭.৫৭ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে দৈনিক পজেটিভির হার ৭.৭৪ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজেটিভিটির হার ৪.৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে ভারতে ৩৭৭টি নতুন ওমিক্রন সংক্রমণ হয়েছে, যা দেশে এই জাতীয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০৭-এ নিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১৯৯ জন।
মহারাষ্ট্রে সর্বাধিক সংখ্যক ওমিক্রন কেস রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭৬ জন। তারপরে দিল্লিতে ৪৬৫, কর্ণাটকে ৩৩৩, রাজস্থান ২৯১, কেরালায় ২৮৪, গুজরাট ২০৪ এবং তামিলনাড়ু ১২১ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন।
মোট ২৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করোনার এই ভেরিয়েন্টের কেস রিপোর্ট করেছে। তালিকায় রয়েছে তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, ওডিশা, উত্তরাখণ্ড, চণ্ডীগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, লাদাখ, মণিপুর ও পঞ্জাব।
এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন সম্পর্কে যেটা জানা গিয়েছে, তা হল, এই করোনা রূপান্তরের ক্ষেত্রে, বিপুল সংখ্যক মিউটেশন (Mutations) বা অভিযোজন রয়েছে। যার বেশিরভাগই স্পাইক প্রোটিন (Spike Protein), অর্থাৎ ভাইরাসের যে অংশ হোস্ট কোষকে আক্রমণ করতে সাহায্য করে, তাতে ঘটেছে। যার ফলে ভাইরাসটি শুধু, যারা টিকা পায়নি তাদেরকেই সহজে সংক্রমিত করতে পারে তাই নয়, পূর্ববর্তী সংক্রমণ এবং ভ্যাকসিন থেকে তৈরি অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়াকেও (Antibody Response) এড়িয়ে যেতে পারে।
অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া প্রতিরক্ষার প্রথম লাইন। তা অতিক্রম করার পরে ওমিক্রন কীকরম আচরণ করে? গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোভিড-১৯ (COVID-19) ভাইরাসের আগের ভেরিয়েন্টগুলি যেমন ফুসফুসকে ব্যাপক সংক্রামিত করত, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তা দেখা যাচ্ছে না। গত সপ্তাহে অন্তত পাঁচটি পৃথক গবেষণায় একই ফল এসেছে। আর সেই কারণেই এই ভাইরাস থেকে, তুলনায় কম গুরুতর অসুস্থতা তৈরি হচ্ছে। হ্যামস্টার, সিরিয়ান হ্যামস্টার ও ইঁদুরের ফুসফুসে পরীক্ষা করে এবং আক্রান্তদের ফুসফুসের কলা বা টিস্যু অধ্যয়ন করে একই ফল মিলেছে।