সংক্ষিপ্ত
করোনা টীকাকরণে কবে থেকে ১৮ বছরের নিচের ছেলেমেয়েরা আসবে তা নিয়ে কথা চলছিল, চলতি বছরের অক্টোবরে একটা আন্দাজও পাওয়া গিয়েছিলে ১৮ বছরের নিচের ছেলেমেয়েদের টীকাকরণ নিয়ে। অবশেষে, এল সেই সুখবর।
বর্ষশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Pm Modi) বড় ঘোষণা। জানিয়ে দিলেন ৩ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে শুরু হবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টীকাকরণ (PM Modi Announces 15 to 18 years COVID 19 vaccination)। ক্রিসমাসের সময় যখন দেশ উৎসবে মেতে, ঠিক তখন এমন একটি সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশজুড়ে ওমিক্রন (Omicron) ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান আতঙ্কের মধ্যে, কিশোর-কিশোরীদের জন্য কোভিড-১৯ টিকা (COVID-19 Vaccine) এবং ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ভারত। শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) জানালেন, ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি থেকেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এছাড়া ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং কোমরবিডিটি (Comorbidity) বা সহ অসুস্থতা থাকা ষাটোর্ধ নাগরিকরা ১০ জানুয়ারি থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন - Roundup 2021: করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে মাইলস্টোন, শুরু হয়েছিল গণ টিকাকরণ
আরও পড়ুন - COVID-19 Vaccination: ভারতের অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্কের টিকাকরণ সম্পূর্ণ
আরও পড়ুন - COVID-19: সবাই নিয়েছে টিকার সম্পূর্ণ ডোজ, তারপরও একসঙ্গে করোনা পজিটিভ ৬৬ জন ছাত্র
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দেশবাসীকে ওমিক্রন সংক্রমণের দ্রুত বৃদ্ধিতে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মহামারীর বিরুদ্ধে সতর্কতা কম না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশকে নিরাপদ রাখতে করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের বিরাট অবদান রয়েছে। সেই কথা বিবেচনায় করেই সরকার ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ বা প্রিকশন ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোমরবিডিটি থাকা ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তাঁদের নিজ নিজ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টিকার এই সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও জানান, ভারতে শিশুদের জন্য হাসপাতালগুলিতে মোট ৯০,০০০ শয্যা (পেডিয়াট্রিক আইসিইউ এবং নন-আইসিইউ) তৈরি আছে। ভারতে আইসোলেশন বেড রয়েছে ১৮ লক্ষ, অক্সিজেন সমর্থন-সহ বেড রয়েছে ৫ লক্ষ, আইসিইউ বেড রয়েছে ১.৪০ লক্ষ। ৩,০০০ টিরও বেশি পিএসএ অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে, অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ করা হয়েছে ৪ লক্ষ।
তিনি আরও দাবি করেন, আমাদের দেশ সর্বনিম্ন সময়ে সর্বাধিক টিকাদান করেছে। জানান, চলচি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ অভিযান শুরু করা হয়েছিল। সকল নাগরিকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সম্মিলিত ইচ্ছায় ভারত ১৪১ কোটি ভ্যাকসিন ডোজের অভূতপূর্ব লক্ষ্য অতিক্রম করেছে। ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৬১ শতাংশেরও বেশি ভ্যাকসিনের উভয় ডোজই পেয়েছেন। আর প্রায় ৯০ শতাংশ ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, বিজ্ঞানীদের জন্যই দেশ টিকাদানের এই সাফল্য পেয়েছে। তিনি আরও জানান, শীঘ্রই নাসাল ভ্যাকসিন, অর্থাৎ নাক দিয়ে নেওয়ার টিকা এবং ডিএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিনও তৈরি হবে আমাদের দেশে।