সংক্ষিপ্ত

  • নাম না করে ট্রাম্পকে খোঁচা রাহুল গান্ধি
  • বন্ধুত্ব প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলে না
  • সোশাল মিডিয়ায় মন্তব্য রাহুল গান্ধির
  • ট্রাম্পের হুমকি নরেন্দ্র মোদীকে 

বন্ধুত্ব কখনই প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধির এই মন্তব্য ঘিরে রীতি মত তোড়পাড় দেশ। রাহুল গান্ধি আরও বলেছেন, ভারত সব দেশকেই সব সময় সাহায্য করেছ। প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করেছে।  কিন্তু এখনও ভারতবাসীর জন্যই  জীবনদায়ী ওষুধ সরবরাহ করা অত্যন্ত জরুরী। সমালোচকদের মতে নাম না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে কংগ্রেস সাংসদের এই মন্তব্য।

 

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভারতের কাছ থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চেয়েছে মার্কিন প্রশাসন। কিন্তু গত ২৫ মার্চ থেকে ভারত এই ওষুধ রফতানির ওপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বর্তমানে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রয়োজনে তাদেরই অ্যান্টি ম্যালেরিয়াল এই ওষুধ সরবরাহ করা হবে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ওষুধ চাওয়ার পরেও ভারত সরকার কোনও মন্তব্য করেনি দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বন্ধু বলে সম্বোধন করেও প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেছেন। বলেছেন ওষুধ সরবরাহ না হলে ফল ভুগতে হবে ভারতকে। 

আরও পড়ুনঃ ভিক্ষের পর এবার 'বন্ধু' মোদীকে হুমকি ট্রাম্পের, ওষুধ না পাঠালে পরিণতি হবে মারাত্মক

আরও পড়ুনঃ রাজ্যগুলির লকডাউন বাড়ানোর আর্জি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র, জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে স্কুল

অর পড়ুনঃ লকডাউনের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার, সনিয়া গান্ধি চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রীক

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পরেই রাহুল গান্ধি সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন। প্রথমেই তিনি বলেন বন্ধুত্ব কখন প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলে না। রাহুল গান্ধি নাম না করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করলেও এদিন বিরত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করা থেকে। সমালোচকদের মতে রাহুল ট্রাম্পের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর কোর্টেই বল ঠেললেন।  কারণ ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ওষুধ সরবরাহ করে কি না তাই এখন দেখার। 

তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এতটাই বেড়েছে মার্কিন মুকুলে যে রীতিমত ঘুম ছুটেগেছে প্রশাসনের। মার্কিন প্রশাসনের দেওয়া তথ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার। এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।  তাই ভারতের কাছেও এই ওষুধ যথেষ্ট প্রয়োজনীয়। একই অবস্থা মার্কিন প্রশাসনের কাছে।