সংক্ষিপ্ত
- গোটা দেশ রয়েছে ২১ দিনের লকডাউনে
- অনেকেই 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' করছেন এই সময়ে
- দেশের অন্যতম এক শিল্পপতিও করছেন 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'
- দাবি করলেন লুঙ্গি পরে কাজ করছেন তিনি
করোনা সংক্রমণ আটকাতে দেশজুড়ে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। বন্ধ অফিস, কাছারি, স্কুল, কলেজ, কল, কারখানা। কেবল খোলা রয়েছে জরুরি ভিত্তিক পরিষেবা। আর এরসঙ্গেই চলছে দেশজুড়ে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'। যেখানে ঘরে বসেই সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা করে চলেছেন অফিসের কাজ। 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' করছেন দেশের অন্যতম শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা। আর সেইকথা বলতে গিয়েই নিজের সিক্রেট ফাঁস করে দিলেন এই বিজনেস টাইকুন।
বয়স কেবল একটা সংখ্যা মাত্র, করোনা যুদ্ধে জিতে ফের একবার প্রমাণ দিলেন অশীতিপর মনমোহন সিং
২ সপ্তাহ ধরে শরীরে করোনার লক্ষণ, কীভাবে সুস্থ হলেন রহস্য ফাঁস করলেন হ্যারি পটারের লেখিকা
ফের নতুন কীর্তি তবলিগিদের, এবার হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে পালাল করোনা আক্রান্ত
'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' করার সময় তিনি নাকি মাঝে মধ্যেই লুঙ্গ পড়ে থাকেন। নিজের ট্যুইইটার অ্যাকউন্টে এমনটাই দাবি করেছেন মাৃহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি, ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কম্পিউটারে কাজ করার সময় বিশেষ করে ভিডিও কলে মিটিংয়ের ক্ষেত্রে তিনি নাকি মাঝে মাঝেই লুঙ্গি পরে থাকেন। তাঁর কথায়, “শার্টের তলায় লুঙ্গি পরে নিই। অনেক সময়েই ভিডিও কলে এমন কিছু মিটিং থাকে যেখানে আমার দাঁড়ানোর দরকার পড়ে না। তবে আমার ব্যাপারে এই গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার পর আমি নিশ্চিত এবার থেকে নিশ্চয় সহকর্মীরা আমায় দাঁড়াতে বলবেন।“
ট্যুইটারে সদ্যই একটি মিম শেয়ার করেছেন আনন্দ। যেখানে দেখা গিয়েছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বাস্তব অর্থ বুঝিয়েছেন শিল্পপতি। একটি ছবিতে লেখা ‘এক্সপেকটেশন’, অন্যটিতে ‘রিয়েলিটি’। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের এক্সপেকটেশনে দেখা গিয়েছে একদম স্যুট-টাই পরে বাবু সেজে চেয়ারে বসে মন দিয়ে ল্যাপটপে কাজ করছেন এক ব্যক্তি। আর রিয়েলিটির ফ্রেমে দেখা গিয়েছে রান্নাঘরে লুঙ্গি পরে রান্না করছেন এক ব্যক্তি। গ্যাস ওভেনের পাশেই রাখা ল্যাপটপ। অবস্থা অনেকটা ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’।
বর্তমানে লকডাউন পিরিয়ডে অনেকেই 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' করছেন। আর বাড়িতে বসে সেই কাজ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ইতিমধ্যে ভরে গিয়েছে নানা মিমে। এবার তাতে রসদ যোগালেন দেশের অন্যতম ধনী ব্যক্তিত্বও। যদিও আনন্দ মহিন্দ্রা মত হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যা একেবারেই খাপ খায় না। তবে হাস্যরসের জন্য নেটিজনদের কাছে আগে থেকেই সুনাম রয়েছে মাহিন্দ্রা গ্রুপের কর্ণধারের। টুইটারে হামেশাই নানা মজার ছবি-ভিডিও শেয়ার করে থাকেন আনন্দ মহিন্দ্রা। প্রতিবারই তাঁর টুইট ভাইরাল হয়ে যায় নিমেষে। এবারেও হয়েছে ঠিক তেমনটাই। কমেন্ট বক্সে জড়ো হয়েছে হাজার মজার মন্তব্য। কেউ লিখেছেন, ‘আপনার সহকর্মীরাও আপনারই দলে।‘ কেউবা বলেছেন, ‘পরের বার আপনার লুঙ্গি ড্যান্সের একটা ভিডিও আপলোড করবেন প্লিজ।‘
তবে এই করোনা পরিস্থিতিতে কেবল মজার মিম শেয়ার করাই নয় দেশের পাশেও দাঁড়িয়েছেন আনন্দ মহিন্দ্রা। ইতিমধ্যে তাঁর সংস্থা মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা-র ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটগুলি ভেন্টিলেটর বানানো শুরু করেছে। একই সঙ্গে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় মহিন্দ্রার বিলাসবহুল হলিডে রিসর্টগুলিকে পরিবর্তিত করে দেওয়া হয়েছে সাময়িক কোয়ারেন্টাইন ফেসিলিটিতে। পাশাপাশি আনন্দ মহিন্দ্রা নিজের বেতনের একশ শতাংশ দান করেছেন সংস্থার তৈরি করোনাভাইরাস মোকাবিলা তহবিলে।