সংক্ষিপ্ত
কোভিড মহামারিতে বিপর্যস্ত ভারত
রোগের পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে অর্থনৈতিক দুর্দশা
এর মধ্যে কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে দারুণ সিদ্ধান্ত রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের
কী কী সহায়তার কথা ঘোষণা করল মুকেশ অম্বানীর সংস্থা
চলমান কোভিড মহামারির মধ্যে দারুণ সিদ্ধান্ত নিল মুকেশ অম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (RIL)। তাদের সংস্থার যে কর্মীদের করোনায় মৃত্যু হচ্ছে, আগামী ৫ বছর তাঁদের প্রাপ্য বেতন পাবে তাদের পরিবার। শুধু তাই নয়, মহামারির সময় সব দিক থেকে সংস্থা তাদের কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তাদের এই উদ্য়োগ বণিক মহল-সহ সব মহলের প্রশংসা পাচ্ছে।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত কর্মীদের ছুটি দেওয়ার বিষয়ে উদার নীতি নিয়েছে সংস্থা। সংস্থা জানিয়েছে, কোনও কর্মী নিজে বা তাদের পরিবারের কেউ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে সেই কর্মী শারীরিক এবং মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য বিশেষ 'কোভিড ছুটি' নিতে পারবেন। এই ছুটির উদ্দেশ্য হ'ল কর্মীরা যাতে নিজেরা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন বা তাদের পরিবারের সদস্যদের যত্ন নেওয়ার দিকে সম্পূর্ণ মন দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।
এছাড়া, কোনও কর্মীর রোগ গুরুতর আকার ধারণ করলে সংস্থা আর্থিক সহায়তা হিসাবে, ৩ মাস পর্যন্ত সুদমুক্ত বেতন অগ্রিম হিসাবে প্রদান করছে। কোনও কর্মচারীর মৃত্যু হলে ওই ৫ বছর পর্যন্ত বেতন প্রদানের পাশাপাশি তাদের শিশুদের শিক্ষা ও পরিবারের স্বাস্থ্যের ব্যয়ভার বহন করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে রিলায়েন্স। 'রিলায়েন্স ফ্যামিলি সাপোর্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার স্কিম'-এর অধীনে, মৃত কর্মীদের সন্তানদের, ভারতের যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাচেলর ডিগ্রি অবধি পড়ার খরচ, ছাত্রাবাসের থাকার খরচ এবং বইপত্র কেনার খরচ পুরোপুরি বহন করবে সংস্থা। আর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে রিলায়েন্স মৃত কর্মীর স্ত্রী, বাবা-মা এবং স্নাতক ডিগ্রি পর্যন্ত সন্তানদের হাসপাতালে ভর্তির সমস্ত খরচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তবে সব কর্মীই রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের নথিভুক্ত নন। তার বাইরে অনেক ঠিকা কর্মীও সংস্খার হয়ে কাজ করেন। সেইসব কর্মীদের মৃত্যু হলেও রিলায়েন্স সংস্থা তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই সব সমস্ত শোকার্ত পরিবারকে তারা এককালীন ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবে।