সংক্ষিপ্ত
আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্লাস ওয়ান থেকে নাইন পর্যন্ত অফলাইন ক্লাস বন্ধ থাবে মুম্বইয়ে। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে বৃহন্মুম্বই পুরনিগম। তবে, প্রথমে বলা হয়েছিল যে ক্লাস টেন ও টুয়েলভের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলেই আসতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল পরিস্থিতি। ছন্দে ফিরছিল স্কুল (School) ও পড়ুয়ারা (Student)। ফের স্কুলে শুরু হচ্ছিল পঠন-পাঠন। কিন্তু, ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ (Corona Positive)। আর সেই কারণেই এবার আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্লাস ওয়ান থেকে নাইন (Class One to Nine) পর্যন্ত অফলাইন ক্লাস (Offline Class) বন্ধ থাবে মুম্বইয়ে (Mumbai)। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে বৃহন্মুম্বই পুরনিগম (Brihanmumbai Municipal Corporation)। তবে, প্রথমে বলা হয়েছিল যে ক্লাস টেন ও টুয়েলভের (Class Ten and Twelve) ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলেই আসতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
মুম্বইয়ের থানেতে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্লাস ওয়ান থেকে ও ইলেভেনের অফলাইন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ক্লাস টেন ও টুয়েলভের পড়ুয়াদের স্কুলে যেতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে অনলাইনে ক্লাস করার মতো মোবাইল (Mobile Phone) নেই অনেক পড়ুয়ার কাছেই। তার ফলে অনলাইনে ক্লাস করতে না পেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বহু পড়ুয়াকেই।
আরও পড়ুন- শীতের ছুটি বাতিল, জরুরি ভিত্তিতে কাজে যোগ এইমস চিকিৎসকদের
এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ (Corona Vaccination) শুরু করা হয়েছে। ৩ জানুয়ারি থেকে তাদের দেওয়া হচ্ছে টিকা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Maharashtra Health Minister) রাজেশ তোপ (Rajes Tope)। তিনি বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছে সেই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের অনুরোধ ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদেরও টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হোক।"
আরও পড়ুন- ওমিক্রন আক্রান্ত, সহজেই তা জানিয়ে দেবে 'ওমিসিওর'
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় গত ১৫ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের এই রাজধানী শহরে খুলে গিয়েছিল স্কুল। যদিও ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণের হার। দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৬০ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৮ জন। এরপর রয়েছে দিল্লি, সেখানে সংক্রমিত ৪ হাজার ৯৯ জন। এদিকে দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮৯২। সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান প্রতিদিন সামনে আসছে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে স্বস্তির বিষয় এই যে, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজার হাজার হলেও মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কম।