সংক্ষিপ্ত
- মে মাসের মাঝামাঝি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তুঙ্গে উঠতে পারে
- এমনই বলছে এসবিআইয়ের রিপোর্ট
- সুস্থতার হারের ওপর নির্ভর করে সংক্রমণ তুঙ্গে ওঠার বিষয়টি
- করোনায় দেশে দৈনিক আক্রান্ত এখন ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার
দেশে রোজ রোজ বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নয়া কোভিড আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৭৯ হাজারা ছাড়িয়েছে। গত আটদিনে দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ৩ লক্ষের বেশি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৩০.৮৪ লক্ষ। যা সত্যিই আশঙ্কার। এর মধ্যেই দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠানোর ওপর ভয়ানক চাপ পড়ায় আশঙ্কা আরও বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। এখন প্রশ্ন এই যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, সেটা তুঙ্গে কবে উঠবে? ভারতের সবচেয়ে বড় ব্য়াঙ্ক, এসবিআই (SBI)-র অর্থনীতিবিদরা পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে যে রিপোর্ট তৈরি করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে দিন কুড়ির মধ্যেই দেশে করোনা সংক্রমণ তুঙ্গে উঠবে। কোভিড গ্রাফ তুঙ্গে উঠলে তারপর তা দ্রুত নামার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন: খারাপের দিকেই যাচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি, আক্রান্ত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীও
রিপোর্টে কীভাবে বলা হল, যে মে মাসের মাঝামাঝি দেশে দ্বিতীয় করোনা ঢেউ তুঙ্গে উঠবে? SBI-এর এই রিপোর্টে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটার কিছুটা বোঝা যায় সংক্রমণে সুস্থতার হার দেখে। দেখা গিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে সুস্থতার হার ছিল ৯৭%। কিন্তু এখন সেটা কমে এসেছে ৮২.৫%-এ। দেখা গিয়েছে ৬৯ দিনের মধ্যে করোনায় দেশে সুস্থতার হার ১৪.৫% কমে গিয়েছে। অন্য দেশের করোনার গ্রাফ দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে যখন এই সুস্থতার হার ৭৭.৮% নেমে আসবে তখন সেটা তুঙ্গে উঠবে। এরপরই নামার পালা। ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া-র মত দেশে দেখা গিয়েছে সুস্থতার হারের সঙ্গে সংক্রমণ তুঙ্গে ওঠার বিষয়টির মিল আছে।
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় কি করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত, সাইড এফেক্টে ক্ষতি হবে না তো গর্ভের সন্তানের
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোটামুটি দেখা যাচ্ছে করোনায় সুস্থতার হার ১% কমতে ৪-৫ দিন মত সময় লাগছে। সেক্ষেত্রে আজ থেকে দিন কুড়ির মধ্যে করোনা সংক্রমণ দেশে তুঙ্গে ওঠার কথা। দেশে করোনা সংক্রমণ তুঙ্গে ওঠার সময় সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩৬ লক্ষের মত থাকতে পারে বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছিল।
টিকাকরণ
এসবিআই অর্থনীতিবিদদের হিসেব অনুযায়ী ভারতে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার ক্ষমতা ও বিদেশ থেকে আমদানি করার হিসেব মেলালে দেখা যাচ্ছে ২১ অক্টোবরের মধ্যে দেশের ১৫% মানুষকে টিকার দুটি ডোজই দেওয়া হয়ে যাবে, আর ৬৩% দেশবাসী করোনার একটি ডোজ নিয়ে নেবেন।