সংক্ষিপ্ত

  • আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বেড়ে ৩০ জুন
  • ছাড় জিএসটিও
  • করোনা মোকাবিলায় ঘোষণা করা হবে আর্থিক প্যাকেজ
  • সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী 

করোনাভাইসের সংক্রমণ রুখতে প্রায় গোটা দেশেই জারি করা হয়েছে লক ডাউন। এই অবস্থায় গৃহবন্দি দেশের অধিকাংশ মানুষই। জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই শুধুমাত্র বাইরে বার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আয়কর রিটার্ন জমা করা সম্ভব নয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকার আইটি রিটার্ন জমা করার শেষ দিন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।  ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষের আইটি রিটার্ন জমা করা যাবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। আগের নিয়ন অনুযাযী চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যেই দাখিল করতে হত ইনকম ট্যাক্স। মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারমন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। 

 

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, রিটার্ন পরিশোধে বিলম্বিত সুদের হারও ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে। টিডিএস রিটার্নের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, জিএসটির ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন  যে সব সংস্থা বছরে পাঁচ কোটি টাকার টার্নওভার করে তাদের ক্ষেত্রে জিএসটি রিটার্নে দেরি হলেও জরিমানা দিতে হবে না। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সংস্থা গুলিকে আরও ৬০ দিন বেশি সময় দেওয়া হচ্ছে। 

নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন,  বর্তমান পরিস্থিতিতেও দেশের আমদানি রফতানি সচল রাখতে শুক্ত দফতর কাজ করে চলেছে। যে সব সংস্থাগুলি নতুন যাত্রা শুরু করেছে তাদের ক্ষেত্রেও ফাইল জমা দেওয়ার দিন আরও ৬ মাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

গতকালই লোকসভায় করোনাভাইরাস সংক্রণ মোকাবিলায় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার দাবি করেছিলেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। কিন্তু সেখানে কোনও মন্তব্য করেনি সরকার পক্ষ। এদিন অনুরাগ ঠাকুরকে পাশে বসিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন করোনা মোকিবিলায় আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। অবিলম্বে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। যাইহোক আর্থিক প্যাকেজের কথা শুনে কিছুটা হলেও রিলিফ পেয়েছে দেশের শিল্প মহল। কারণ করোনার প্রকোপে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। 

অন্যদিকে দেশের শেয়ার মার্কেটের অবস্থাও শোচনীয়। সেই প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন নির্মালা সীতারমন। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সেবি একসঙ্গে কাজ করছে স্টক মার্কেটের উন্নতি ও স্থিরতার জন্য।