সংক্ষিপ্ত
- মুর্শিদাবাদে করোনার টিকা পেলেন ১৩০০ কোভিড যোদ্ধা
- একজন সাফাই কর্মীকে এখানে প্রথম টিকা দেওয়া হয়
- প্রথম ধাপে ১৩টি জায়গায় টিকাকরণের কাজ শুরু করা হচ্ছে
- জেলায় ৩৭ হাজার ৫০০টি ভ্যাকসিনের ডোজ এসেছে
মুর্শিদাবাদে করোনার টিকা পেলেন ১৩০০ কোভিড যোদ্ধা। রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনে নির্দেশ মেনে শনিবার সীমান্তের জেলা মুর্শিদাবাদে প্রথম দফায় ১৩০০ জন ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়ার স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এদিন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমে টিকাকরণ পর্বের সূচনা করেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস।
শুরুতেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০০ জনকে প্রথম দিনের টিকা দেওয়া হয়। পাশাপাশি একজন সাফাই কর্মীকে প্রথম টিকা দেওয়া হয়।এই ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন,সারা বছর ধরে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীরা জেলাবাসীর পাশে থেকেছে সব সময়, শুরুতে তাদেরকে সুরক্ষিত রাখতে প্রথম দফায় ১৩০০জন স্বাস্থ্য কর্মী কে এই করোনা ভ্যাকসিন এর টিকা দেওয়া হল।'
স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, করোনাকালে সাফাই কর্মীরাও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। তাই তাঁদের সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়,প্রথম ধাপে ১৩টি জায়গায় টিকাকরণের কাজ শুরু করা হচ্ছে। যেসব স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রথম দিন টিকা দেওয়া হবে তাঁদের মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। জেলায় ৩৭ হাজার ৫০০টি ভ্যাকসিনের ডোজ এসেছে। তা প্রথমে স্টোর রুমে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে কোল্ড চেইন পয়েন্টে ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হয়েছে। এক একজনের টিকাকরণ পর্ব শেষ হতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগবে। টিকা দেওয়ার পর প্রায় আধ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদে এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার ৭৮৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে।এদিন থেকে টিকা দেওয়ার পর্ব শুরু হওয়ায় জেলাজুড়ে এই খুশির হাওয়া বইছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমএসভিপি অমিয়কুমার বেরা বলেন, টিকা দেওয়ার জন্য পরিকাঠামো কয়েকদিন আগেই তৈরি করা হয়েছে। ৬ টি রুমে পুরো প্রক্রিয়া চলবে। প্রথমে যিনি টিকা নিতে আসবেন তাঁর পরিচয়পত্র দেখা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তাঁকে পরের ঘরে পাঠানো হবে। কয়েকটি ধাপ পেরোনোর পর টিকা দেওয়া শুরু হবে।'