সংক্ষিপ্ত

 

  •  টিকাকরণে সফল সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতাল
  •  প্রত্যেককেই টিকা দেবার পর ৩০ মিনিট বসানো হয়েছে
  • ভ্যাকসিন নেবার পর অভিজ্ঞতা জানালেন সেখানের স্বাস্থ্যকর্মী 
  • পরিসংখ্য়ান জানালেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক


 শনিবার সকাল থেকেই সোনারপুরে শুরু হয়েছে  টিকাকরণ কর্মসূচি। সারা দেশ তথা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে করোনার টিকাকরণ।  রাজ্য়ের মোট ২১২ টি টিকাকরণ কেন্দ্রে হয়েছে টিকাকরণ। বিকেল গড়াতে গড়াতে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে করোনার টিকা নিয়েছেন ১০০ জন। জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন।
 

 

 

আরও পড়ুন, 'গুজবে কান দেবেন না- দ্বিতীয় ডোজ নিতে ভুলবেন না', দেশবাসীকে সতর্ক করলেন মোদী

 

দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালের, কোভিড আইসোলেসন ওয়ার্ডে কর্মরত  ডক্টর দত্ত জানিয়েছেন, শনিবার ভালভাবেই তাঁদের ভ্য়াক্সিনেশন প্রক্রিয়া চলেছে। যে ১০০ জনের নাম এন্ট্রি করা হয়েছিল, তাঁদের প্রত্য়েকেই করোনার টিকা নিয়েছেন। প্রত্যেককেই ভ্যাকসিন দেবার পর ৩০ মিনিট বসানো হয়েছে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে। ভ্যাকসিন দেবার পর  শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ কারোর ক্ষেত্রেই প্রকাশ পায়নি, তাই তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে আসেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক  সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।  এই কেন্দ্রে মোট ভ্যাকসিন এসেছে ১০৬ টি । প্রথম টিকা নিয়েছেন চিকিৎসক প্রদীপ দত্ত এবং দ্বিতীয় টিকা নিয়েছেন মেডিক্য়াল ল্য়াব টেকনিশিয়ান অনিমেষ রায়। শনিবার বিকেল ৫ টার মধ্যেই কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছেন ১০০ জন। 

 

 

আরও পড়ুন, ' ঈশ্বরের নাম ভালবেসে বলা উচিত', 'জয় শ্রীরাম' বিতর্কে বাকযুদ্ধের বাইশ গজে সায়নী-তথাগত


দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী মৌসুমি মুখোপাধ্যায় কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আনন্দপুরে ভর্তি ছিলেন। তারপর কোভিড মুক্ত হয়ে এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। এবং শনিবার কোভিডের টিকাকরণ কেন্দ্রে  ভ্যাকসিন নেবার পর খুবই আনন্দিত। কোনও রকম শারীরিক অসুবিধা অনুভব করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

 

আরও পড়ুন, 'দিদির অভিনয়ে আটকেছেন শতাব্দী, BJPতেই আসবেন', লিস্টে আরও কারা- জানালেন সৌমিত্র খাঁ  

 

 

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,ক্যানিং- বারুইপুরে ১০০ শতাংশ ভ্যাক্সিনেশন হয়েছে এবং তার অধীনে বাকি ৫ জায়গায় ৭০ শতাংশ ভ্যাক্সিনেশন হয়েছে। সকালে সঠিক সময়েই শুরু হয়েছে টিকাকরণ। এবং সারাদিন স্বাভাবিকভাবেই করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের। ভ্য়াকসিন দেবার পর কোনও শারীরিক সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি কাউকেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, শনিবার পোর্টাল ফাংশন করেনি তাই ম্যানুয়ালি করা হয়েছে। শনিবার যারা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ২৮ দিন পরে আবার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন। প্রত্য়েককে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। সরকারিভাবে দিন নির্ধারিত করে তারিখ ঘোষণা করা হবে। ফোনের মাধ্যমে সেই সকল  ভ্য়াকসিন গ্রহীতারা জানতে পারবেন বলে  জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন।