সংক্ষিপ্ত
সবথেকে খারাপ অবস্থায় কলকাতার ন্যাশান্যাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের(National Medical College and Hospital)। সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহে মেডিক্যাল কলেজে(Calcutta Medical College) দুশোর বেশি চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের চিকিত্সা চলছে মেডিক্যাল কলেজেই। বাকিরা রয়েছেন আইসোলেশনে(Isolation)।
গোটা দেশের পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ(third wave of the coronavirus) আছড়ে পড়েছে বাংলার বুকেও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৪ হাজারেরও বেশি দৈনিক করোনা সংক্রমণ(Daily corona infections) দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য মহলেও। এদিকে করোনাকে বাগে আনতে যে সমস্ত করোনা যোদ্ধারা(Covid warrior) সবথেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন, যেমন ডাক্তার, নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা(Doctors, nurses and other health workers) তারাও পড়ছেন করোনার কবলে। রাজ্যে একাধিক মেডিকেল কলেজে ক্রমেই চওড়া হচ্ছে করোনার থাবা। সবথেকে খারাপ অবস্থায় কলকাতার ন্যাশান্যাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের(National Medical College and Hospital)। সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহে মেডিক্যাল কলেজে(Calcutta Medical College) দুশোর বেশি চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের চিকিত্সা চলছে মেডিক্যাল কলেজেই। বাকিরা রয়েছেন আইসোলেশনে(Isolation)।
সূত্রের খবর, ন্যাশনাল মেডিক্যালের অর্থপেডিক বিভাগের প্রধান-সহ অধিকাংশ চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত। আক্রান্ত কার্ডিও থোরাসিক সার্জারি বিভাগের সত্তর শতাংশ চিকিৎসক। এখনও পর্যন্ত চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ২৯০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এই হাসপাতালে। আর তাতেই নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ। তবে শুধু কলকাতার হাসপাতাল নয়, করোনার থাবা চওড়া হয়েছে উত্তরবঙ্গেও। সূত্রের খবর উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেও বুধবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৮ জন জুনিয়র ডাক্তার। জুনিয়র ডাক্তার সহ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৭ জন নার্স ও ৩ জন হাউস স্টাফ। এমতাবস্থায় আগের সংখ্যা মিলিয়ে বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৭। যা নিয়ে নতুন করে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
অন্যদিকে নদিয়ার কল্যাণী কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালেও দেখা যাচ্ছে বড়সড় করোনা হানা। সেখানেও কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে হু হু করে। শেষ রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত চিকিৎসক, মেডিকেল ছাত্র ও নার্স মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ জন। এদের মধ্যে ১৩ জন ডাক্তারি পড়ুয়া, চারজন চিকিৎসক রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে সংখ্যাটা ১২৪। চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের চিকিৎসক-সহ ১০৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী এখনও পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর।
আরও পড়ুন-বাঁধ ভাঙা সংক্রমণের মুখে বাংলা, করোনা ঠেকাতে শহরজুড়ে কড়াকড়ি কলকাতা পুলিশের
অন্যদিকে করোনা হানা দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনেও। সেখানেও ৫ আধিকারিক-সহ স্বাস্থ্য ভবনের ৫০ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি আমরি হাসপাতালে ২০, আর এন টেগোর হাসপাতালে ১৫ , এবং সিএমআরআই-তে ১৫ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে শেষ পাওয়া রিপোর্টে জানা যাচ্ছে। এদিকে দেশের করোনা পরিসংক্যান বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার পার করে গিয়েছে। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ৯২৮। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৩৩ হাজার বেড়ে গিয়েছে। দৈনিক ওমিক্রণ আক্রান্তের সংখ্যাও ছুঁয়ে ফেলেছে ৫০০-র গণ্ডি।