সংক্ষিপ্ত

নিউ মার্কেট চত্বর থেকে শুরু করে গ্র্যান্ড হোটেলে সমগ্র এলাকায় হকার থেকে শুরু করে ক্রেতা, যদি কারও মুখে মাস্ক না থাকে তাহলে তৎক্ষণাৎ তাকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে। যাদের মাস্ক খারাপ হয়ে গেছে ঠিকঠাক ফিট হচ্ছে না তাদেরকে নিউমার্কেট থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মাস্কও দেওয়া হয়।

বাঁধ ভাঙা সংক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে গোটা বাংলা(West Bengal)। দৈনিক করোনা রিপোর্ট(Daily Corona Report) বলছে বর্তমানে গত এক সপ্তাহ ধরে গোটা রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা(Corona infected)। এদিকে করোনাকে বাগে আনতে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আংশিক লকডাউন(Partial lockdown) জারি হয়েছে গোটা রাজ্যে। চলছে বিধিনিষেধের কড়াকড়ি। যদিও তারপরেও ফিরছে না মানুষের হুশ। এমতাবস্থায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে(Preventing corona infections) আরও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। মাস্ক ছাড়া কাউকে ঘুরে বেড়াতে দেখলে সেই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বুধবার দিনভর এমনই চিত্র ধরা পরল নিউমার্কেট থানা(Newmarket Police Station) এলাকায়।

নিউ মার্কেট চত্বর থেকে শুরু করে গ্র্যান্ড হোটেলে সমগ্র এলাকায় হকার থেকে শুরু করে ক্রেতা, যদি কারও মুখে মাস্ক না থাকে তাহলে তৎক্ষণাৎ তাকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে। যাদের মাস্ক খারাপ হয়ে গেছে ঠিকঠাক ফিট হচ্ছে না তাদেরকে নিউমার্কেট থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মাস্কও দেওয়া হয়। কিন্তু যারা মাস্ক ছাড়া বেরিয়েছেন তাদের করা হচ্ছে না রেহাত। এদিকে গত কয়েকদিনে বেলাগাম করোনা সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে তিলোত্তমায়। মঙ্গলবার দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গোটা রাজ্যে ৯ হাজার পার করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন  ৯ হাজার ৭৩ জন। সোমবারের তুলনায় একধাক্কায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে যায় দৈনিক সংক্রমণ। যার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৫৯ জন। আর তাতেই নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ।

আরও পড়ুন-সীমান্তে ফের সক্রিয় সোনা পাচার চক্র, বিএসএফ-র হাতে হাতেনাতে পাকড়াও ১

তবে সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। মঙ্গলবার শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৯১ জন ছুঁয়ে ফেলে। এদিকে কলকাতার সঙ্গে সংক্রমণে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বীরভূম, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া। গ্রামে করোনা আক্রান্তদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। পাশাপাশি গ্রামের সমস্ত বাজারঘাটে যাতে সঠিক ভাবে করোনা বিধি পালন করা হয় সেই বিষয়ে জোরদার নজরদারি চালানো হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে। এমনকী বিধি না মানলে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। একইসঙ্গে প্রচরাভিযান চলছে রেল স্টেশনগুলিতেও। সব মিলিয়ে করোনা তৃতীয় ঢেউয়ে যে রাজ্যে উদ্বেগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।