সংক্ষিপ্ত
বেশ কিছুদিন ধরেই রেলের একাধিক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরে ওমিক্রনের উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। সিগন্যাল ও টেলিকম বিভাগের ওই কর্মীর শরীরেও ওমিক্রনের উপসর্গ ছিল।
কয়েকদিন আগেও রাজ্যে করোনার দৈনিক (Daily Corona Cases) সংক্রমণ ছিল খুবই কম। ৪০০ থেকে ৬০০-র মধ্যেই তা ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু, দু'দিন আগে আচমকাই বেড়ে যায় সংক্রমণ। আর বেড়ে তা ২ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গেই আবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনার (Corona) নতুন রূপ ওমিক্রন। বছর শেষে করোনার এই দাপটে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। রাজ্যে ফের আরও এক ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। শিয়ালদা (Sealdah) ডিভিশনের এক রেলকর্মী ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্ত হয়েছেন বলে রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে। আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে (Beleghata ID Hospital)।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই সিগন্যাল ও টেলিকম বিভাগের ওই কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর তাঁর ওমিক্রন পরীক্ষার করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ (Corona Positive Report) আসে। পাশাপাশি, রেলের আরও ৫ থেকে ৬ জন কর্মীর সোয়াবের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁরাও ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা তা রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে।
আরও পড়ুন- সতর্ক না হলে ভুগতে হবে, রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত ছাড়াবে ৩৫ হাজারেরও গণ্ডি
বেশ কিছুদিন ধরেই রেলের একাধিক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরে ওমিক্রনের উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। সিগন্যাল ও টেলিকম বিভাগের ওই কর্মীর শরীরেও ওমিক্রনের উপসর্গ ছিল। তারপরই তাঁর সোয়াবের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। রেলকর্মীদের আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে রেলের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে শিয়ালদার আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২১ জন। বৃহস্পতিবারই ওই কলেজের ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর শুক্রবার সেই সংখ্যার সঙ্গে আরও ৮ জন যুক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক থেকে নার্সিং স্টাফ সবাই রয়েছেন। সব মিলিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ওই কলেজের মধ্যে।
রাজ্যের পরিস্থিতি খুবই খারাপ হতে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞদের তরফে জানানো হয়েছে। জেলায় জেলায় সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে। এক সপ্তাহের মধ্যেই সংক্রমণ একেবারে চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছে সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ আগামীদিনে ৩০-৩৫ হাজার হওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের বিশ্লেষণ, প্রত্যেকদিন দ্বিগুণ হারে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণের গ্রাফচিত্র ক্রমেই উর্ধ্বমুখী।