সংক্ষিপ্ত
টুইটারে সোহম লেখেন, "আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা করোনা পজিটিভ। আমরা সকলেই নিভৃতবাসে রয়েছি।" নিজের অসুস্থতার খবর দেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে মাস্ক পরা ও কোভিড বিধি মেনে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
এবার করোনার (Corona) হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না অনেকেই। একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক (Doctor) থেকে শুরু করে পুলিশকর্মী (Police Personnel) ও অভিনেতারা (Actor)। গত কয়েকদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন টলিপাড়ার (Tollywood) একঝাঁক তারকা। সেই তালিকা অবশ্য এখনও বেড়ে চলেছে। আর এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। তবে শুধুমাত্র তিনি নন, আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন অভিনেতা নিজেই।
টুইটারে সোহম লেখেন, "আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা করোনা পজিটিভ। আমরা সকলেই নিভৃতবাসে (Isolation) রয়েছি।" নিজের অসুস্থতার খবর দেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে মাস্ক পরা ও কোভিড বিধি মেনে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যে প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রণ। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৪ হাজার ২২ জন। তার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই (Kolkata) আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৬ হাজার। আর এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত হচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। পুলিশ থেকে শুরু করে ইডি, সিবিআই (CBI) দফতরেও থাবা বসিয়েছে করোনা। এমনকী, করোনার হাত থেকে রেহাই পায়নি ব্যাঙ্ক ও স্বাস্থ্য দফতরও। সেই সঙ্গে টলি তারকাদেরও আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
আরও পড়ুন- ফের টলিপাড়ায় করোনার কামড়, কোভিড আক্রান্ত দেব-রুক্মিনী
ইতিমধ্যেই একাধিক তারকার শরীরে বাসা বেঁধেছে করোনা। বুধবার একই দিনে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, মিমি চক্রবর্তী, রেশমি সেন, দেব ও রুক্মিণীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার আক্রান্ত হন বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী শুভশ্রী। আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। বুধবার রাতে স্ত্রী মিথিলা ও মেয়ে আয়রার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আরও পড়ুন- করোনায় আক্রান্ত অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, রয়েছেন হোম আইসোলেশনে
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনের রিপোর্টের নিরিখে, কলকাতায় করোনা (Covid Cases in Kolkata) সংক্রমণ ছাড়িয়েছে প্রায় ১০ গুণের বেশি। বড়দিন কিংবা বর্ষবরণের রাতের ভিড়কেই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ি করা হচ্ছে। করোনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কেউই। সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়ছে চিকিৎসকদের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে। এভাবে সব হাসপাতালের (Hospital) চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।